ঢাকা, রবিবার   ১৯ মে ২০২৪

`জিহাদ` নাম নিয়ে ফ্রান্সে দ্বিধা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:২৫, ২৫ অক্টোবর ২০১৭

ফ্রান্স ইউরোপের ভেতর ইসলামী সন্ত্রাসের সবচেয়ে বেশি শিকার হয়েছ। সেই ফ্রান্সে বাচ্চার নাম "জিহাদ" রাখা কতটা গ্রহণযোগ্য?

ফ্রান্সের টুলুজ শহরের প্রধান সরকারি কৌসুলিকে এই প্রশ্নের উত্তর দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। কারণ, শহরের এক দম্পতি তাদের নবজাতকের নাম "জিহাদ" রাখেন। এ রকম নাম রাখার কারণে আদালতে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

সরকারি কৌসুলির তদন্ত রিপোর্টের পর, টুলুজের একজন বিচারক এ ব্যাপারে রায় দিতে পারেন।

"জিহাদ" আরবি শব্দ, যার অর্থ চেষ্টা বা সংগ্রাম। অনেকে অবশ্য শব্দটির সাথে "ধর্মযুদ্ধ"কে গুলিয়ে ফেলেন।

বাবা-মা বাচ্চার নাম কী রাখেন সে ব্যাপারে ফরাসী আইনে কোনো বিধিনিষেধ নেই। তবে সেই নাম যদি বাচ্চার জন্য ক্ষতিকারক হয়, বা পরিবারের অন্য সদস্যরা যদি মনে করেন যে ঐ নামে পরিবারের সুনাম ক্ষুণ্ণ হচ্ছে, তাহলে আদালত চাইলে নাক গলাতেও পারে।

টুলুজে যে বাচ্চাটির "জিহাদ" নামকরণ নিয়ে হৈচৈ হচ্ছে, তার জন্ম হয় আগস্ট মাসে। কিন্তু তার আগেও ফ্রান্সে অনেক ছেলে শিশুর নাম জিহাদ রাখা হয়েছে, এবং তা বদলের জন্য কোনো চাপ কেউ দেয়নি। ইদানীং সাধারণভাবে কট্টর ইসলামপন্থীদের জিহাদি বলা হয়। ২০১৫ সালের শুরু থেকে ইসলামপন্থী জঙ্গিদের হামলায় ফ্রান্সে ২৩০ জন নিহত হয়েছেন। তখন থেকেই সেদেশে জরুরি অবস্থা বলবত রয়েছে।

২০১৩ সালে ফ্রান্সের নিস শহরে এক মহিলাকে এক মাসের কারাদণ্ড এবং ২০০০ ইউরো জরিমানা করা হয়েছিল। কারণ, জিহাদ নামে তার তিন বছরের শিশুটি যে জামা পরে স্কুলে গিয়েছিল তাতে লেখা ছিলো - "জিহাদ, জন্ম ১১ সেপ্টেম্বর, আমি একটি বোমা"—নামের জন্য নয়, মায়ের শাস্তি হয়েছিল ঐ লেখার মাধ্যমে উস্কানি ছড়ানোর অভিযোগে।

অন্যদিকে, ২০১৫ সালে ফ্রান্সে একটি মেয়ে শিশুর নাম "নাটেলা" রাখার পর একটি আদালত তাতে বাদ সাধে। বিচারকের যুক্তি ছিল ওই নামের কারণে শিশুটি পরে হেনস্থার শিকার হতে পারে। এমনকি বিচারক নির্দেশ দিয়েছিলেন যে নাটেলার বদলে শিশুটির নাম রাখা হোক এলা। টুলুজ শহরের জিহাদ নামের বাচ্চার নাম নিয়ে আদালত কি বলে, অনেকেই তা নিয়ে উৎসুক।

সূত্র:বিবিসি বাংলা।

এম/ডব্লিউএন


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি