ঢাকা, রবিবার   ০৬ জুলাই ২০২৫

পাকিস্তানে এক জোটে দুই প্রেসিডেন্ট প্রার্থী, ভাঙ্গনের সুর জোটে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:৫৮, ২৭ আগস্ট ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে বেকায়দায় ফেলতে পিপিপি-মুসলীম লিগের নেতৃত্বাধীন কয়েকটি দলের বিরোধী জোট গঠনের দু সপ্তাহ না পেরুতেই জোটে ভাঙ্গনের সুর দেখা দিয়েছে। প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর মনোনয়ন দেওয়া নিয়ে এই বিরোধ প্রকাশ্যে আসে। জোটের সব দলের সম্মতিতে কোনো একক প্রার্থী ঠিক করতে না পারায় পিপিপি এবং জমিয়াত-ই-ইসলাম আলাদা আলাদা প্রার্থী দিয়েছেন।

পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতা আইতাজ আহসান এবং জমিয়ত উলামায়ে ইসলাম প্রধান মৌলানা ফজলুর রহমান বিরোধী জোটের পক্ষ থেকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছেন। এদিকে ক্ষমতাসীন তেহরিক-ই-ইনসাফের পক্ষ থেকে ড. আরিফ লালভিকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। আগামী ৪ সেপ্টেম্বর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

ড. আলভি করাচি থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। আজ সোমবার দুপুর ১২ টার কিছু আগ মুহূর্তে বিরোধী জোটের দুই প্রার্থী তাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা জমা দেন। অন্যদিকে বিরোধী জোটের প্রার্থী ফজলুর রহমান গত নির্বাচনে দুই আসনেই পরাজিত হন। পিপিপি তার বিরোধীতা করে নিজেরাই অন্য প্রার্থী দিয়েছেন। তবে পিপিপি সমর্থন না দিলেও সাবেক ক্ষমতাসীন দল মুসলীম লিগ-নওয়াজ ফজলুর রহমানকে সমর্থন দিয়েছেন। শুধু মুসলীম লিগ-েই নয়, তাকে সমর্থন দিয়েছে মুত্তাহিদা মজলিসে আমাল, আওয়ামী ন্যাশনাল পার্টি, পাকতুন মিলি আওয়ামী পার্টি এবং ন্যাশনাল পার্টি।

ফজলের জনপ্রিয়তা হ্রাস পেয়েছে দাবি করে পিপিপির আহসান বলেন, প্রার্থী চূড়ান্ত করার ব্যাপারে বিরোধী জোট তার দলের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেনি, আর তাই তিনি প্রার্থীদা দাখিল করেছেন। আহসান পেশায় একজন আইনজীবী। আইন পেশায় দেশটিতে তার ব্যাপক সুনাম রয়েছে। এদিকে মুসলিম লিগের এক নেতার উপর রুষ্ঠ হয়েছেন আহসান।

উল্লেখ্য, গত ২৫ জুলাই পাকিস্তানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে ব্যর্থ হন ইমরান খান। তার দল পায় ১১৭ আসন। তবে পাকিস্তানে সরকার গঠন করতে হলে ২৭২ আসনের ১৩৭টিতে জয়লাভ করতে হয় কোনো দলকে। নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরই ইমরানের প্রধানমন্ত্রিত্ব ঠেকাতে মাঠে নামে মুসলীম লিগ-নওয়াজ ও পিপিপি। এরই লক্ষ্যে তারা ইমরানের বিপক্ষে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফকে প্রার্থী চূড়ান্ত করে।

এদিকে গত ১৭ আগস্ট জাতীয় পরিষদে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন হয়। এতে ইমরান খান সংখ্যাগরিষ্ঠ পিটিআই থেকে মনোনীত হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ভাই ও দ্বিতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ দল মুসলিম লিগের (পিএমএল-এন) নেতা শাহবাজ শরিফ। নির্বাচনে সর্বোচ্চ ১৭৬ সদস্যের ভোট পান ইমরান। আর শাহবাজ পান ৯৬ সদস্যের ভোট।

সূত্র: দ্য ডন
এমজে/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি