ঢাকা, সোমবার   ২৯ এপ্রিল ২০২৪

এতিমখানার ৮০ ভাগ শিশুই এতিম নয়!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:৫৩, ১৬ নভেম্বর ২০১৮

হ্যারি পটার স্রষ্টা জে কে রাউলিং-এর সংগঠন ‘লুমোস’ বলছে, দরিদ্র দেশগুলোতে স্থাপিত অনেক এতিমখানা আসলে লোভনীয় ব্যবসার একটি অংশ। বিদেশি দাতাদের আকৃষ্ট করতে এই এতিমখানাগুলো পরিবার থেকে শিশুদের পৃথক করে এনে সেখানে রাখে। এক্ষেত্রে দরিদ্র পরিবারগুলোকে অর্থের লোভ দেখানো হয়, কিংবা সন্তানদের ভালো শিক্ষা দেবার অঙ্গীকার করা হয়।

লুমোসের দাবি, সারা বিশ্বে প্রায় ৮০ লক্ষ শিশু এতিমখানা ও অন্যান্য সংস্থায় থাকে৷ তবে এর মধ্যে ৮০ ভাগের বেশি শিশুর অন্তত একজন অভিভাবক আছে৷ লন্ডনে ‘থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশন’ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই তথ্য জানিয়েছে তারা।

লুমোসের মতো আরেকটি সংগঠন ‘ফরগেট মি নট’। অস্ট্রেলিয়ার আইনজীবী কেট ভ্যান ডুরে এটি প্রতিষ্ঠা করেছেন৷ অতীতে তিনি নেপাল ও উগান্ডায় দুটি এতিমখানা গড়ে তুলেছিলেন৷ সেইসময় তিনি একটি বিষয় জেনে খুবই অবাক হয়েছিলেন যে, এতিমখানায় আসা এতিমরা আদতে এতিম নয়! লন্ডনের অনুষ্ঠানে তিনি তার এই অভিজ্ঞতার কথা জানান।

লুমোসের দাসত্ব বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ক্লোয়ে সেটার জানান, এতিমখানা কিংবা অন্যান্য সংস্থায় থাকা শিশুদের বেড়ে ওঠায় সমস্যা দেখা দেয়৷ গবেষণায় দেখা গেছে, এসব শিশুর মধ্যে সামাজিক, ইমোশনাল ও চেতনাবোধ সংক্রান্ত সমস্যা দেখা দেয়৷

গবেষণা বলছে, এতিমখানায় থাকা শিশুদের নাকি পরিবারের সঙ্গে থাকা শিশুদের চেয়ে যৌনকর্মে জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা ১০ গুন বেশি থাকে৷ এছাড়া একজন শিশুকে এতিমখানায় দেয়ার মানে হচ্ছে, তার যৌন সহিংসতার শিকার হওয়ার আশঙ্কা চার গুন বেড়ে যাওয়া।

উন্নত দেশগুলোতে এতিমখানার চল নেই৷ কারণ, সেসব দেশে শিশুর পরিবারের সঙ্গে থাকাটাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়৷ ফলে এতিমদের জন্য সরকারিভাবে কোনো পরিবার খুঁজে দেওয়া হয়৷

লুমোস বলছে, দাতারা এতিমখানায় যে অর্থ সহায়তা দিয়ে থাকে, সেটি সেখানে না দিয়ে এমন জায়গায় দেওয়া উচিত, যারা দরিদ্র পরিবারগুলো মান উন্নয়নে কাজ করে থাকে৷

তথ্যসূত্র : ডয়েচে ভেলে

এমএইচ/

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি