ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৯ আগস্ট ২০২৫

মেয়ে শিশু জন্ম নিলেই শেষ  

প্রকাশিত : ২১:২০, ২৩ জানুয়ারি ২০১৯ | আপডেট: ২২:৩০, ২৩ জানুয়ারি ২০১৯

Ekushey Television Ltd.

মণিকুমার বিশ্বাস ও রানী বিশ্বাস বাস করেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বাগদার সিন্দ্রানীর বাবুপাড়ায়। তাদের পরিবারে আসে পর পর চার কন্যাসন্তান।   

কিন্তু এই কন্যাশিশুদের মধ্যে তিনজনেরই মৃত্যু হয় জন্মের কয়েক দিন পর। সর্বশেষ জন্ম নেয়া আরও এক কন্যাশিশুর মৃত্যু হয় সোমবার। কিন্তু ওই কন্যার বাবা-মাকে জিজ্ঞেস করে তার মৃত্যুর সঠিক কারণ জানাতে পারেনি তারা।

পরে প্রতিবেশীদের সন্দেহ হওয়ায় থানায় খবর দিলে পুলিশ তাদের আটক করে। ১২ দিনের শিশুটির মরদেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।

পুলিশ ও স্থানীয়দের বরাত দিয়ে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, মণিকুমার বিশ্বাস ও রানী বিশ্বাসের প্রথম সন্তান জন্মায় পাঁচ বছর আগে। এর আগে আরও দুটি বিয়ে করেছিলেন তিনি।

বিয়ের কিছু দিন পরই তাদের ঘরে এক কন্যাসন্তান জন্মায়। কয়েক দিন বেঁচে ছিল সে। এর পরই মারা যায়। চার বছর আগে দ্বিতীয় মেয়ের জন্ম হয়।

জন্মের পর দেড় মাস পর্যন্ত সে ছিল প্রতিবেশী গীতা মণ্ডলের হেফাজতে। তবে এ মেয়েটি এখন পর্যন্ত বেঁচে আছে। গীতার দাবি, ‘আমি চোখে চোখে না রাখলে হয় তো একেও মেরে ফেলত।’

বছরখানেক আগে বিশ্বাস দম্পতির তৃতীয় কন্যাসন্তান হয়। মাত্র ২৩ দিনের মাথায় সেও হঠাৎ মারা যায়।

এর পর তাদের ঘরে চতুর্থ কন্যাসন্তান জন্ম নেয়। জন্মের ১২ দিনের মাথায় ওই মেয়ের মৃত্যুর খবরে এলাকাবাসী সরব হয়ে ওঠে। তারা ওই দম্পতিকে বাচ্চার মৃত্যুর কারণ জিজ্ঞেস করে। কিন্তু তারা কোনো সদুত্তর দিতে না পারায় পুলিশে খবর দেয় এলাকাবাসী।

তাদেরই একজন সাগরিকা অধিকারী বলেন, ওরা মেয়েসন্তান চাইত না। মেয়ে হওয়ার আশঙ্কায় গর্ভপাত করাতে চেয়েছিল। আমরা নিষেধ করেছি। অনেক বুঝিয়েছি। সন্দেহ হওয়ায় নিয়মিত খোঁজখবরও রাখছিলাম। কিন্তু যা সন্দেহ ছিল, এখন দেখছি সেটিই সত্যি হল!

ওই শিশুর মৃত্যুর আগের দিনও সিন্দ্রানী প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাকে। শিশুটি সুস্থ আছে বলে জানান চিকিৎসকরা।

পুলিশ এসে মরদেহটি ময়নাতদন্তে পাঠায়। প্রথমে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় ওই দম্পতিকে। পুলিশ জানিয়েছে, আগের শিশুগুলো কীভাবে মারা গেল, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এসি

    


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি