ঢাকা, শনিবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

খাশোগির হত্যাকারীদের ক্ষমা করা যায় না : বাগদত্তা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:০৫, ২৩ মে ২০২০

জামাল খাশোগির বাগদত্তা হাতিস চেংগিজ। ছবি: সংগৃহীত

জামাল খাশোগির বাগদত্তা হাতিস চেংগিজ। ছবি: সংগৃহীত

Ekushey Television Ltd.

সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগির সন্তানরা তার বাবার হত্যাকারীদের ক্ষমা করে দেয়ার ঘোষণার পরপরই নিহতের তুর্কি বাগদত্তা ক্ষিপ্ত হয়ে বলেছেন, এমন ক্ষমা প্রদর্শনের অধিকার কারো নেই। এ ধরনের জঘন্য হত্যাকাণ্ডের জন্য কখনই কেউ ক্ষমা পেতে পারে না। খবর বিবিসি’র

জামাল খাশোগির বাগদত্তা হাতিস চেংগিজ শুক্রবার টুইটারে লেখেন, জামাল খাশোগি এখন একজন আন্তর্জাতিক প্রতীক, তিনি আমাদের সবার ঊর্ধ্বে, ভালোবাসা এবং সম্মানের পাত্র তিনি। সুতরাং তার হত্যাকারীদের এভাবে ক্ষমা করে দেওয়া যায় না।

চেংগিজ আরও লেখেন, “তার বিয়ের জন্য কাগজপত্র আনতে গিয়ে জামাল তার দেশের কনসুলেটের মধ্যেই হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। তাকে লোভ দেখিয়ে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়। তাকে হত্যার জন্য সৌদি আরব থেকে লোক যায়।”

তিনি বলেন, জঘন্য এই হত্যাকাণ্ডের হোতাদের ক্ষমা করে দেওয়ার অধিকার কারো নেই এবং বিচার না পাওয়া পর্যন্ত তিনি চুপ করবেন না।

শুক্রবার ওয়াশিংটন পোস্টের কলামিস্ট খাশোগির বড় ছেলে সালাহ খাশোগি এক টুইটারে ঘোষণা দেন, ‘আমরা আমাদের বাবার হত্যাকারীদের ক্ষমা করে দিয়েছি এবং তাদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ তুলে নিলাম।’

উল্লেখ্য, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের কড়া সমালোচক হিসেবে পরিচিত ছিলেন জামাল খাশোগি। ২০১৮ সালের ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশের পর নিখোঁজ হন ওয়াশিংটন পোস্টের এই কলামিস্ট।

শুরুতে তাকে হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ অস্বীকার করে সৌদি। তবে সংবাদমাধ্যমে তুর্কি গোয়েন্দাদের একের পর এক ‘তথ্য ফাঁসে’র মুখে ১৯ অক্টোবর খাশোগি হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে বলে স্বীকার করে সৌদি কর্তৃপক্ষ।

মৃত্যুর আগে জামাল খাশোগি যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করতেন এবং ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকায় নিয়মিত লিখতেন। এসব লেখার অনেকগুলোতেই সৌদি রাজপরিবারের বিরুদ্ধে সমালোচনা করা হয়েছে।

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি