ঢাকা, রবিবার   ১৩ জুলাই ২০২৫

ভারতে টানা সর্বোচ্চ শনাক্ত, মৃত্যু ২৩ হাজার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:৫৪, ১৩ জুলাই ২০২০ | আপডেট: ১৪:৫৫, ১৩ জুলাই ২০২০

Ekushey Television Ltd.

ভারতে টানা ছয়দিন রেকর্ড সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত পৌনে ৯ লাখের বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে প্রাণহানি ২৩ হাজার ছাড়িয়েছে। তবে, আক্রান্তদের মধ্যে দুই তৃতীয়াংশই সুস্থতা লাভ করেছেন।

দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৮ হাজার ৭০১ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। একদিনে আক্রান্তের নিরিখে যা সর্বোচ্চ। এতে করে সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে ৮ লাখ ৭৮ হাজার ২৫৪ জনে দাঁড়িয়েছে। যার ষাট শতাংশই তিন রাজ্যের (মহারাষ্ট্র, দিল্লি ও তামিলনাড়ু)। 

একই সময়ে প্রাণহানি ঘটেছে ৫০০ জনের। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ২৩ হাজার ১৭৪ জনের মৃত্যু হলো করোনায়। দেশটিতে এখন পর্যন্ত এক কোটি প্রায় ১৬ লাখ নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। 

দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে সর্বাধিক সংক্রমণ ছড়িয়েছে মহারাষ্ট্রে। তারপরেই তামিলনাড়ু, দিল্লি, গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ, কর্নাটক এবং তেলেঙ্গানা। এদিকে, বিশ্ব তালিকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রাজিলের পরে বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ করোনাক্রান্ত দেশ হলো ভারত। 

এদিকে রোববার মহারাষ্ট্রে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন আট হাজারে বেশি মানুষ। এতে করে এ রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা আড়াই লাখ ছাড়িয়ে গেছে। মৃত্যু হয়েছে ১০ হাজার ২৮৯ জনের। আজ থেকে এ রাজ্যে থেকে ১০ দিনের কড়া লকডাউন শুরু হয়েছে। 

তামিলনাড়ুতে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৩৮ হাজার ৪৭০ জনের শরীরে ভাইরাসটির সংক্রমণ পাওয়া গেছে। যেখানে প্রাণহানি ঘটেছে ১ হাজার ৯৬৬ জনের। 

রাজধানী দিল্লিতে করোনার থাবায় প্রাণ গেছে ৩ হাজার ৩৭১ জনের। আর ভুক্তভোগীর সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ১২ হাজার ৪৯৪ জনে দাঁড়িয়েছে। 

সংক্রমণ ঠেকাতে ভারতে প্রথমদিকে সামাজিক দূরত্বের উপর জোর দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন লকডাউনের কড়াকড়ি নেই। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু হওয়ায় বাজার-হাট, গণপরিবহনে বেড়েছে লোকের ভিড়। বেড়েছে একে অপরের সংস্পর্শে আসার সম্ভাবনাও। তাই, প্রতিদিনই আশঙ্কাজনকহারে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। 

তবে আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিন বাড়লেও, হয়ে সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যাও স্বস্তি দিচ্ছে ভারতবাসীকে। দেশটিতে বর্তমানে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ৩ লাখ ১ হাজার ৮৫০ জন। 

গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮ হাজার ৮৪৯ জন সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত করোনা মুক্ত হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন ৫ লাখ ৫৩ হাজারের বেশি ভুক্তভোগী। যেখানে বেঁচে ফেরার হার ৬৭ শতাংশ।

এআই/এমবি


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি