ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দক্ষিণ কোরিয়ার ৩ লাখ ডলার প্রদানের ঘোষণা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:০১, ৪ নভেম্বর ২০২০

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৮ লাখ ৬০ হাজার মানুষের জন্য খাদ্য সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য দক্ষিণ কোরিয়া ডব্লিউএফপি বাংলাদেশকে ৩ লাখ মার্কিন ডলার অনুদান দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

ঢাকায় নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং-কিউন সে দেশের পক্ষে এ সহায়তা প্রদানের ঘোষণা দেন।

বাংলাদেশে ৩৪টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের প্রতিটিতেই শতভাগ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে ডব্লিউএফপি থেকে সহায়তা দেয়া হয়, যারা তাদের মৌলিক চাহিদা মেটাতে খাদ্য সহায়তার ওপর নির্ভরশীল। এর পাশাপাশি, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ও ক্যাম্প সংলগ্ন স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে ডব্লিউএফপি থেকে পুষ্টি সহায়তা, ইঞ্জিনিয়ারিং সহায়তা, স্কুল ফিডিং সহায়তা ও আত্ম-নির্ভরশীলতা বা জীবিকা বিষয়ক প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।

ডব্লিউএফপি বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর রিচার্ড রেগান বলেন, ‘রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী, যারা পুরোপুরিভাবে বাহ্যিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল। তাদেরকে সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখার জন্য দাতাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।’

২০১৮ সালে রোহিঙ্গাদের সহায়তায় খাদ্য সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ডব্লিউএফপিকে দেয়া ৫ লাখ মার্কিন ডলার অনুদানের পর নতুন করে আবারও এই অনুদান দেয়া হলো।

দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং-কিউন বলেন, ‘রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টায়, বিশেষতঃ ডব্লিউএফপির মাধ্যমে কোরিয়া সক্রিয়ভাবে যুক্ত আছে।’

তিনি আরো বলেন, কোরিয়া সরকার আশা করে, এই অনুদানের ফলে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি তাদেরকে আশ্রয় দানকারী বাংলাদেশের স্থানীয় জনগোষ্ঠীও উপকৃত হবে।

২০১৩ সাল থেকে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস-বিষয়ক কর্মসূচিতে বাংলাদেশে ডব্লিউএফপিকে সহায়তা দিয়ে আসছে। কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (কইকা) মাধ্যমে কোরিয়ার বহুবার্ষিক সহায়তায় ডব্লিউএফপি ২০১৩ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত সিরাজগঞ্জে গ্রামাঞ্চলের জনগোষ্ঠী, যাদের জীবন ও জীবিকা চরম দারিদ্র্য ও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদেরকে সহায়তা প্রদান করেছে।

২০১৮ সাল থেকে বাংলাদেশে ডব্লিউএফপিকে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ৫০ লাখ মার্কিন ডলার অনুদান দেয়া হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ৪৬ লাখ মার্কিন ডলারের অনুদান, যা দিয়ে কুড়িগ্রাম জেলায় একটি চার বছর মেয়াদী দুর্যোগ সহনশীলতা প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আর এই প্রকল্পটির মাধ্যমে এই বছরে হওয়া স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যায় ঝুঁকির সম্মুখীন পরিবারগুলো অত্যন্ত কার্যকরভাবে উপকৃত হচ্ছে।

জাতিসংঘ বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি ২০২০ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী সংস্থা। এটি বিশ্বের সর্ববৃহৎ মানবিক সংস্থা, যা জরুরি অবস্থায় মানুষের জীবন রক্ষা করছে এবং খাদ্য সহায়তার মাধ্যমে সংঘাত, দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে পুনরুদ্ধারকৃত মানুষের জন্য শান্তি স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধি বয়ে আনছে।
সূত্র : বাসস
এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি