ঢাকা, শুক্রবার   ৩১ মে ২০২৪

চাপের মুখে জান্তা সরকার, সমঝোতার প্রস্তাব এনইউজি’র

দুলি মল্লিক

প্রকাশিত : ১২:০২, ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | আপডেট: ১২:০৯, ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতায় আসার তিন বছরের মধ্যেই চরম চাপের মুখে মিয়ানমারে জান্তা সরকার। বিদ্রোহী গোষ্ঠির সমন্বিত লড়াইয়ে এরইমধ্যে বিভিন্ন রাজ্যে অন্তত ৩৫টি শহরের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে তারা। অস্ত্রসমর্পণ করে প্রতিবেশি দেশগুলোতে পালাচ্ছে হাজারো সেনাসদস্য। এ অবস্থায় অং হ্লাইংয়ের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন খোদ জান্তাপন্থীরাই। 

২৭ অক্টোবর, ভোরের আলো ফোটার আগেই শান রাজ্যে বিদ্রোহীদের ছোঁড়া একের পর এক রকেট আঘাত হানে সেনা ঘাঁটিতে। 

অপারেশন ১০২৭ নামে বিদ্রোহীদের সমন্বিত এ অভিযানেই মূলত জান্তা সরকারের পতনের সূচনা। শানের পর চিন, আরাকানসহ বিভিন্ন রাজ্যে একের পর এক ঘাঁটি হারাতে থাকে সেনাবাহিনী। 

মিয়ানমার পিচ মনিটরের তথ্যানুযায়ী, গেল অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত বিভিন্ন রাজ্যে ৩৫টি শহরের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে জান্তা সরকার। 

আত্মসমর্পণ করেছে ২ হাজারেরও বেশি সেনা সদস্য। অনেকেই পুরো ইউনিট নিয়ে পালিয়েছে ভারত ও চীনে।

এ অবস্থায় খোদ জান্তাপন্থিরাই সরকার প্রধান মিন অং হ্লাইংয়ের পদত্যাগ দাবি করেছেন। সম্প্রতি ক্যান্টনমেন্ট শহরে সামরিক সমাবেশে কট্টর জান্তাপন্থি ভিক্ষু পাউক কোতাওয়ের বক্তব্যে তা স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

২০২১ এর পহেলা ফেব্রুয়ারি নোবেল জয়ী সুচির নেতৃত্বাধীন গণতান্ত্রিক সরকারকে হটিয়ে সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতায় আসে মিন অং হ্লাইংয়ের সেনা সরকার। এখনকার বাস্তবতায় বিশ্লেষকরা বলছেন, স্বাধীনতার ৭০ বছরে জান্তাবাহিনীকে এতোটা দুর্বল আর কখনোই দেখা যায়নি।

বর্তমানে দেশটির বেশিরভাগ রাজ্যেই সক্রিয় বিদ্রোহীরা। জানুয়ারির শুরুতে চীনের মধ্যস্থতায় সীমান্তবর্তী শান রাজ্যে দু’পক্ষের লড়াই সাময়িকভাবে বন্ধ হলেও অন্য রাজ্যগুলোতে সরকারকে হটাতে তুমুল লড়াই চলছে। 

রাখাইনে এরইমধ্যে বন্দর নগরীসহ ভারত সীমান্তবর্তী অনেক এলাকার নিয়ন্ত্রণ এখন আরাকান আর্মির।

সংঘাত বন্ধে জান্তা সরকারকে ৬ শর্তে সমঝোতার প্রস্তাবও দিয়েছে সুচির সমর্থক ও বিভিন্ন বিদ্রোহীর সমন্বিত জোট- এনইউজি। যদিও জান্তা সরকার এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। 

বিশ্লেষকরা বলছেন, সেনাবাহিনীকে পরাজিত করার মতো বাস্তবতা তৈরি হয়েছে। তবে এর জন্য আরও কতো সময় লাগবে, তা অনিশ্চিত।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.





© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি