বিক্ষোভের মুখে আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ
প্রকাশিত : ১৯:৫৪, ২৩ এপ্রিল ২০১৮ | আপডেট: ১০:১৩, ২৪ এপ্রিল ২০১৮
জনগণের ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী সার্ঘ সার্গসিয়ান। পাঁচ বছর করে পরপর দুই মেয়াদে দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় থাকতে চাইলে সার্ঘের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ফেটে পরে আর্মেনিয়ানরা। তারই পরিপ্রেক্ষিতে পদত্যাগ করেন সার্ঘ সার্গসিয়ান।
সোমবার পদত্যাগের পর তিনি বলেন, “রাজপথে যে বিক্ষোভ হচ্ছে তা আমার প্রধানমন্ত্রী থাকা নিয়ে। আমি আপনাদের (জনগণের) দাবি পূরণ করছি”।
আর্মেনিয়ান প্রেস নিউজ এজেন্সীতে প্রকাশিত বক্তব্যে “আর্মেনিয়া প্রজাতন্ত্রের সকল নাগরিকদের উদ্দেশ্যে...দেশটির নেতা হিসেবে শেষবারের মত বলছি”-এমনটা উল্লেখ করে সার্ঘেই বলেন, “নিকোল পাশিনিয়ন (প্রধান বিরোধী দলীয় নেতা) সঠিক ছিলেন। আর আমি ছিলাম ভুল। চলমান সংকটের অনেক ধরনের সমাধান ছিল। কিন্তু আমি তাদের কাউকেই (বিরোধীদের) আটক করিনি। দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর জন্য আমি আমার অফিস ছেড়ে দিচ্ছি”।
গত সপ্তাহের মঙ্গলবার তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার নেওয়ার পর থেকেই দেশজুড়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকে বিরোধী দলগুলো এবং তাদের সমর্থকেরা।
এমন পরিস্থিতিতে গতকাল রবিবার প্রধান বিরোধী দলীয় নেতা নিকোল পাশিনিয়ন এবং আরও কয়েকটি বিরোধী দলের নেতাসহ অন্তত ২০০ জন বিক্ষোভকারীকে আটক করেছিল আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীরা। তবে সার্ঘের পদত্যাগের ঘোষণার আগে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
আজারবাইজান এবং তুরস্কের সাথে চলমান উষ্ণতায় কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হওয়ায় অনেক দিন থেকেই আর্মেনিওদের ক্ষোভের মুখে ছিলেন সার্ঘ সার্গসিয়ান। রাশিয়ার সাথে ঘনিষ্ঠ হওয়ার কারণেও বিরোধীদের সমালোচনা শুনতে হয়েছে তাকে।
সার্ঘের শাসনামলেই প্রেসিডেন্ট শাসিত দেশ থেকে পার্লামেন্ট শাসিত সরকার ব্যবস্থায় প্রবেশ করে আর্মেনিয়া। তবে প্রজাতন্ত্রের সকল রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে রাখায় সমালোচিতও হয়েছেন তিনি।
তবে পদত্যাগ করলেও ঠিক কোন দিন থেকে তার পদত্যাগ কার্যকর হবে সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি সার্ঘ সার্গসিয়ান। সূত্রঃ বিবিসি
//এস এইচ এস//
আরও পড়ুন