ঢাকা, সোমবার   ২৯ এপ্রিল ২০২৪

কাশ্মীর পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:০৩, ৭ আগস্ট ২০১৯ | আপডেট: ১৬:০৫, ৭ আগস্ট ২০১৯

স্বায়ত্তশাসনের মর্যাদা কেড়ে নেয়ার পর ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে এখন ভয় ও আতঙ্ক চেপে বসেছে। সামরিক বাহিনীর ব্যাপক ধরপাকড় ও বিচ্ছিন্ন বিক্ষোভ চলছে।

সোমবার মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চলটির সাংবিধানিক বিশেষ মর্যাদা বাতিল করার ঘোষণা দেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এর পর বিক্ষোভে এক কাশ্মীরি নিহত ও আরও ছয় ব্যক্তি আহত হয়েছেন।

দেশের বিভিন্ন অংশের সঙ্গে হিমালয় অঞ্চলটির সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হিন্দুত্ববাদী সরকার সোমবার কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের ঘোষণা দেয়াকে সামনে রেখে কাশ্মীরের ফোন ও ইন্টারনেট সংযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়।

এছাড়া জনসমাবেশ ও বিক্ষোভও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বিচ্ছিন্ন এই সম্প্রদায় ও শ্রীনগর থেকে বিমানে আসা যাত্রীরা কাশ্মীরের অস্বাভাবিক পরিস্থিতির কথাই বলেছেন।

এমন পরিস্থিতিতে কাশ্মীর পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ। নিজেদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় ছাড়া কথা বলতে নারাজ বাংলাদেশ সরকার।

কাশ্মীরকে দ্বিখণ্ডিত ও কেন্দ্রীয় শাসনের অধীনে আনার বিষয়ে ভারতের নতুন সিদ্ধান্ত নিয়ে বাংলাদেশের কোনো করণীয় আছে কিনা জানতে চাইলে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, এটি দেশটির অভ্যন্তরীণ বিষয়। বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করলেও এ নিয়ে আমরা কোনো মন্তব্য করতে চাই না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ভারতের কাশ্মীর ইস্যু পর্যবেক্ষণ করছে সরকার। ভারত কাশ্মীর নিয়ে ৩৭০ ধারা বিলুপ্ত করেছে। এটা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। কোনও দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে মন্তব্য করার এখতিয়ার আমাদের নেই।

প্রসঙ্গত, ভারতের সংবিধানে কাশ্মীরিদের দেয়া  বিশেষ মর্যাদা সংক্রান্ত ৩৭০ ও ৩৫ ধারা গত সোমবার ভারতীয় পার্লামেন্টে বাতিল করে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার। এরপরই সংসদ ও সংসদের বাইরে চলে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়। যা ছড়িয়ে পড়েছে ভারতের অন্যান্য প্রদেশে। এতে নতুন করে উত্তেজনা বাড়ে পাক-ভারত সম্পর্ক। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে চীন। 

কাশ্মীরিদের দীর্ঘদিনের চাওয়া স্বায়ত্বশাসন না দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের আওতাভূক্ত করায় নতুন করে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। যেকোনো মূল্যে কাশ্মীরিদের পাশে থাকার কথা ঘোষণা দিয়েছে পাকিস্তান। বিচ্ছিন্ন কাশ্মীর নিয়ে এখন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি এ রাষ্ট্রদ্বয়ের মাঝে যেকোনো সময় যুদ্ধ লাগতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি