বিজিএমইএ ভবন অবিলম্বে ভেঙে ফেলতে সর্বোচ্চ আদালতের দেওয়া রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে করা আবেদন খারিজ
প্রকাশিত : ১৯:৩৫, ৫ মার্চ ২০১৭ | আপডেট: ১৯:৩৫, ৫ মার্চ ২০১৭
বিজিএমইএ ভবন অবিলম্বে ভেঙে ফেলতে সর্বোচ্চ আদালতের দেওয়া রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আপিল বিভাগ। ফলে বিজিএমইএ ভবন ভাঙতেই হবে। তবে ভবনটি অন্যত্র সরাতে কত দিন সময় লাগবে, সেই আবেদনের ওপর বৃহস্পতিবার পরবর্তী আদেশ দেবেন আদালত।
রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলের পূর্ব পাশে খাল দখল করে অবৈধভাবে গড়ে উঠা পোশাকশিল্প প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির ১৬ তলা ভবনটি ভেঙে ফেলতে ২০১১ সালে রায় দেন হাইকোর্ট। সংগঠনের নিজ খরচায় ভবনটি ভাঙ্গার আদেশ আপিলেও বহাল থাকে।
এরপর গত বছর ৮ ডিসেম্বর রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেন বিজিএমইএর সভাপতি। এই আবেদনে আপিলের রায় স্থগিতের পাশাপাশি অন্যত্র স্থানান্তরের জন্য তিন বছরের সময় চাওয়া হয়। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের তিন সদস্যের বেঞ্চ রোববার রিভিউ খারিজ করে আদেশ দেন।
তবে রাষ্ট্রপক্ষ ও বিজিএমইএ ভবন সরানোর সময় আবেদন অযৌক্তিক বলে মন্তব্য করেছেন অ্যামিকাস কিউরি মনজিল মোরসেদ।
আপিলের পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়েছিলো ‘বেগুনবাড়ি খাল’ ও ‘হাতিরঝিল’ জলাভূমিতে অবস্থিত ‘বিজিএমইএ কমপেক্স’ ভবনটি নিজ খরচে বিজিএমইএ কে ভাঙ্গতে হবে। এতে ব্যর্থ হলে রায়ের কপি হাতে পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে ভবনটি ভেঙে ফেলারও নির্দেশ দিয়েছিল সর্বোচ্চ আদালত।
আরও পড়ুন