ঢাকা, বুধবার   ০৬ আগস্ট ২০২৫

৬ মার্চ টানা ৫ দিনের বাংলাবন্দের সমাপ্তি দিন হলেও উত্তাল ছিলো সারাদেশ

প্রকাশিত : ১০:১৫, ৬ মার্চ ২০১৭ | আপডেট: ১০:১৫, ৬ মার্চ ২০১৭

Ekushey Television Ltd.

আজ ঐতিহাসিক ৬ মার্চ। একাত্তরের এই দিনে টানা পাঁচ দিনের বাংলাবন্দের সমাপ্তি দিন হলেও উত্তাল ছিলো সারাদেশ। বিভিন্নস্থানে সেনাবাহিনীর গুলিতে শহীদ হন অনেক নিরপরাধ বাঙালি। প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া বেতার ভাষনে ২৫ মার্চ পুনরায় জাতীয় পরিষদের অধিবেশন ডাকলেও স্বাধীকারের দাবিতে অনড় বঙ্গবন্ধু। পরদিন রেসকোর্স ময়দানে সমাবেশের প্রস্তুতি চলে পুরোদমে। স্বাধীকারের দাবিতে আন্দোলনে যখন উত্তাল গোটা দেশ, তখনই ৬ই মার্চ প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া দুপুরে এক বেতার ভাষণে ২৫শে মার্চ ঢাকায় পুনরায় জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহবান করেন। তার এই ভাষণের পরপরই ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেন আওয়ামী লীগ নেতারা। পরে বঙ্গবন্ধু বললেন, শহীদের  রক্তের ওপর দিয়ে ইয়াহিয়ার সাথে আলোচনায় বসা অসম্ভব। তাৎক্ষণিকভাবে  আওয়ামী লীগ নেতারা ছাত্রনেতাদের সাথেও বৈঠক করেন। সেখানেই ঠিক হয় ৭ মার্চের রেসকোর্স ময়দানের সমাবেশে বঙ্গবন্ধু সশস্ত্র যুদ্ধের প্রস্তুতি নেয়ার আহবান জানাবেন। এদিন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী ছাত্রযুবকদের সঙ্গে কারারক্ষীদের তুমুল সংঘর্ষ হয়। কারাগারের প্রধান ফটক ভেঙ্গে এবং উচু প্রাচীর ডিঙ্গিয়ে ৩৪১ কারাবন্দী বেরিয়ে এসে আন্দোলনে শামিল হয়। গুলিতে শহীদ হন ৭ জন। খুলনায় সেনাবাহিনীর গুলিতে শহীদ হন ১৮ জন। শহীদ মিনারে ছাত্র ইউনিয়নের নিয়মিত সভায় ন্যাপ প্রাদেশিক প্রধান অধ্যাপক মোজাফ্ধসঢ়;ফর আহমদের নেতৃত্বে শোষনমুক্ত বাংলা গড়ার শপথ নেয় কর্মীরা। ঢাকার রাজপথ এদিন স্বাধীকারকামী জনতার দৃপ্ত পদচারণায় প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। হরতাল পালিত হয় সারাদেশে। জনতা চিৎকার করে বলতে থাকে রক্ত চাও রক্ত দেব, তবু দিতেই হবে স্বাধীকার ।
Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি