টাঙ্গাইলের জেলা সদর পানির ট্যাংকের বধ্যভূমি এলাকা আজও সংরক্ষণ করা হয়নি
প্রকাশিত : ১১:০৬, ১৬ মার্চ ২০১৭ | আপডেট: ১১:০৬, ১৬ মার্চ ২০১৭
স্বাধীনতার ৪৬ বৎসর পরেও টাঙ্গাইলের জেলা সদর পানির ট্যাংকের বধ্যভূমি এলাকা আজও সংরক্ষণ করা হয়নি। আগাছা ঝোপ-ঝাড় আর জঙ্গলে ছেয়ে গেছে। অন্যদিকে শহরের কলেজ পাড়ায় আর্টিজেন অফিসে আল-বদর রাজাকারদের টর্চারসেল ক্যাম্প এখনও চিহ্নিত করা হয়নি। ফলে নতুন প্রজন্মের কাছে এই টর্চার সেল এখনও অজানা। মুক্তিযোদ্ধা ও স্থানীয়দের দাবি জেলার সব বধ্যভুমি জরুরী সংরক্ষনের।
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় টাঙ্গা লের বিভিন্নস্থানে চালানো হয় গণহত্যা। রাজাকার-আলবদরদের সহায়তায় টাঙ্গাইল সাকির্ট হাউসে নিরীহ মানুষজনকে ধরে এনে অমানুষিক নির্যাতন চালাত হানাদার বাহিনী। পরে পাশেই পানির ট্যাংকের নিচে ডোবানালায় গণকবর দেয়া হতো। স্বাধীনতার পর এখানে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মিত হলেও তা পড়ে আছে অরক্ষিত অবস্থায়।
একই সময়ে শহরের কলেজ পাড়ায় আর্টিজেন অফিসে গড়ে তোলা হয় আল-বদর টর্চার ক্যাম্প। মুক্তযোদ্ধা বা স্বাধীনতা আন্দোলনের কর্মীদের মুখে মুখে এই জল্লাদখানার কথা শোনা গেল্ওে এখনো সরকারিভাবে চিহ্ণিত করা হয় নি স্থানটিকে।
শহরের পানির ট্যাংক এলাকায় নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল পাঁচ শতাধিক মানুষকে। কিন্তু এখানো সংরক্ষণ করা হয়নি এই বদ্ধভুমি।
তবে কিছু সংস্কার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
একাত্তরের গণহত্যা ও বাঙালির আত্মত্যাগের স্মৃতিচিহ্ণ সংরক্ষণ করে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নতুন প্রজন্মকে জানানোর দাবি মুক্তিযোদ্ধাসহ স্থানীয়দের।
আরও পড়ুন










