পানিসংকটের মুখে দেশ, সময় মাত্র ১৫ বছর! (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১২:২৪, ২২ মার্চ ২০২২ | আপডেট: ১৩:২৬, ২২ মার্চ ২০২২
বিশ্বব্যাপী দিন দিন বাড়ছে পানি সমস্যা। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপে নদীমাতৃক বাংলাদেশেও বাড়ছে সুপেয় পানির অভাব। কৃষি, শিল্প, কলকারখানার জন্য সঙ্কুচিত হচ্ছে পানির সহজলভ্যতা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী ১০ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে পানির সংকটে পড়বে দেশ।
শুধু উষ্ণায়নের কারণেই বিশ্বে পানি সংকট তৈরি হয়নি বরং মানব সভ্যতার শুরু থেকেই কম-বেশি সংকট ছিল সুপেয় পানির। দিন দিন এ সংকট চরম আকার ধারণ করছে। ২০১৫ সাল থেকে ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরামের গ্লোবাল রিস্ক রিপোর্টে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, শরণার্থী সংকট কিংবা সাইবার আক্রমণের চেয়েও পানি সংকটকে বৈশ্বিক হুমকির তালিকার উপরে স্থান দেয়া হচ্ছে।
জাতিসংঘের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০৩০ সালের দিকে তীব্র পানি সঙ্কটে প্রায় ৭০ কোটি মানুষ নিজেদের বাসস্থান পরিবর্তন করতে বাধ্য হবে। বাংলাদেশও এ সমস্যার বাইরে নয়।
উজানে প্রবাহ কমে যাওয়ায় দেশের অনেক নদ-নদীই এখন মৃতপ্রায়। এর উপর চলছে দখল-দূষণ। নগরায়নের চাপে খাল-বিল, জলাশয় প্রতিনিয়ত ভরাট হচ্ছে।
জলবায়ু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আইনুন নিশাত বলেন, "শুকনো মৌসুমে ২০ শতাংশ সারফেস ওয়াটার ৮০ শতাংশ গ্রাউন্ড ওয়াটার। এর ব্যবস্থাপনাতে কিন্তু ইনভেস্ট করছে প্রাইভেট সেক্টর এবং ব্যক্তি মালিকানাধীন পাম্পের মালিক, সেক্ষেত্রে সমন্বয়ের চেষ্টা নেই।"
পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন-পবার সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আব্দুল সোবহান বলেন, "উপকূলে ভূগর্ভে মিঠা পানি ও লবণ পানির মধ্যে সূক্ষ্য ভারসাম্য রয়েছে। যদি এই ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়, অর্থাৎ বেশি বেশি ভূগর্ভের পানি উত্তোলন করলে নিচে লবণ পানি ঢুকে যাবে। তাহলে আর এই পানি ব্যবহার করা যাবে না।"
নদীবেষ্টিত রাজধানীতে পানি সমস্যা বহুমাত্রিক। সুপেয় পানির জন্য ঢাকা ওয়াসা প্রায় সাড়ে নয়শ গভীর নলকূপ দিয়ে পানি তুলছে। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর দ্রুত নিচে নেমে যাচ্ছে। এ শূণ্যতা পূরণের কোনো ব্যবস্থাও নেই।
এ বিষয়ে আব্দুল সোবহান বলেন, "পাঁচ বছরের মধ্যে ঢাকায় সুপেয় পানির জন্য হাহাকার পড়ে যাবে।"
আর আইনুন নিশাত বলেন, "১০ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে কলকারখানার পানির ক্রাইসিস দেখা দিবে।"
এ অবস্থায় সমন্বিত বড় পরিকল্পনার কথাও জানান তারা। বলেন, ঝুঁকিমুক্ত হতে হলে এখনই শক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে।
এসবি/
আরও পড়ুন