ঢাকা, শুক্রবার   ১৬ মে ২০২৫

পরিবেশগত ও সামাজিক সমীক্ষায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জায়গা নির্বাচন

প্রকাশিত : ১৯:২৩, ৯ এপ্রিল ২০১৬ | আপডেট: ১৯:২৩, ৯ এপ্রিল ২০১৬

Ekushey Television Ltd.

পরিবেশগত ও সামাজিক সমীক্ষার পরই প্রতিটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জায়গা নির্বাচন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এসব প্রকল্পের অধীনে ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের জন্য পর্যাপ্ত পূণর্বাসনের ব্যবস্থা করেই জমি অধিগ্রহন করা হয়েছে। অর্থনৈতিক অগ্রগতির স্বার্থে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো বাস্তবায়নে সবার সহযোগিতাও চেয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের ব্যখ্যা দিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ।  শনিবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্থান নির্বাচনের আগে সম্ভাব্যতা যাচাই, পরিবেশগত এবং সামাজিক সমীক্ষাসহ ১০ থেকে ১২টি সমীক্ষা করা হয়েছে। অর্থনৈতিক অগ্রগতির স্বার্থেই জ্বালানি নিরাপত্তার জন্যই কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাস্তবায়নের কাজ হাতে নিয়েছে বলে জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে। বলা হয় উন্নত দেশে মাথাপিছু কার্বণ নিঃসরণের হার ২০ টন। বংলাদেশে মাত্র ০ দশমিক দুই পাঁচ টন। দূষণের মাত্রা কমাতে সরকার বদ্ধ পরিকর বলে জানায় বিদ্যুৎ বিভাগ। প্রকল্পগুলোর জমি অধিগ্রহণের আগেই পূণর্বাসনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এছাড়া এসব কেন্দ্রে উৎপাদিত বিদ্যুৎ স্থানীয় জনগণের জন্য ইউনিট প্রতি তিন পয়সা রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানায় বিদ্যুৎ বিভাগ। পাশাপাশি ১৩২০ মেগাওয়াটের প্রতিটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে থেকে বছরে ৩২ কোটি টাকা সংরক্ষণ করা হবে, এবং তা স্থানীয় অধিবাসীদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ব্যবহার করা হবে। এ ধরনের বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থানীয়দের বিকল্প আয়ের ব্যবস্থা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সহায়তা করবে বলে জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে। দেশের বৃহত্তর স্বার্থে নির্মিত এসব কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাস্তবায়নে সবাইকে সহযোগিতারও আহ্বান জানিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।
Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি