ঢাকা, শুক্রবার   ২৭ জুন ২০২৫

মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে বিচারকদের প্রতি রাষ্ট্রপতির আহ্বান

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২৩:৪৪, ২ ডিসেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ২৩:৪৪, ২ ডিসেম্বর ২০১৭

Ekushey Television Ltd.

বিচার বিভাগের প্রতি জনগণের আস্থা জোরদারে দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি নিশ্চিত করতে বিচারপতিদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তিনি বলেন, বিচার বিভাগ বর্তমানে বিচার প্রক্রিয়া বিলম্বিত এবং মামলা জট সমস্যার মোকাবেলা করছে শনিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) জাতীয় বিচার বিভাগীয় সম্মেলন -২০১৭-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি নির্দেষ দেন

রাষ্ট্রপতি তার ভাষণে বলেন, আদালত মানুষের শেষ ভরসার স্থল। আশা করি, দেশ ও জনগণের কল্যাণে অগ্রাধিকার দিয়ে বিচার প্রার্থীদের ভোগান্তি হ্রাসে বিচারকরা নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বলেন, মোকদ্দমা শুনানি সমাপ্তির সঙ্গে সঙ্গে রায়ের সারাংশ ঘোষণা বা যুক্তিসঙ্গত সময়ের মধ্যে রায় ঘোষণার জন্য বিচারকদের প্রতি আহবান জানান। এটা করা হলে বিচার বিভাগের ওপর জনগণের আস্থা আরো সুদৃঢ় হবে বলেও জানান তিনি।

আবদুল হামিদ বলেন, মোকদ্দমার যুক্তিতর্ক শুনানির পর যখন রায় প্রকাশে বিলম্ব হয়, তখন সে বিলম্বের একক দায় সংশ্লিষ্ট বিচারককেই নিতে হবে। তিনি বলেন, বিচারে কাংক্ষিত গতি আনতে পর্যাপ্ত বিচার কক্ষ, বিচারকদের শূন্য পদে নিয়োগ এবং বিচারক ও মোকদ্দমার সংখ্যায় যুক্তিসঙ্গত ভারসাম্য রক্ষা করা আবশ্যক।

ন্যায়বিচার প্রাপ্তি মানুষের মৌলিক অধিকার এ কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ দরিদ্র্য, অশিক্ষা ও নানা জটিলতার কারণে অনেক সময় মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়। সনাতন পদ্ধতির আদালত ব্যবস্থাপনা, আদালতের ভৌত অবকাঠামোর অপর্যাপ্ততা, পুরাতন স্থাপনা ইত্যাদির কারণে সুষ্ঠুভাবে বিচার কার্যপরিচালনা করা অনেক সময় কষ্টকর হয়ে পড়ে।

তিনি বলেন, নানা সীমাবদ্ধতার মাঝেও বিচারকগণ বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারসহ বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার নিষ্পত্তিতে প্রশংসনীয় অবদান রাখছেন। গতবছরের তুলনায় চলতি বছরে মামলা নিষ্পত্তির সংখ্যা আশাব্যঞ্জক।

তিনি বলেন, সরকার ইতিমধ্যে বিচারালয়ের অবকাঠামো নির্মাণে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে।  এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে বিচারকরা একটি উন্নত পরিবেশে কাজ করতে পারবেন। গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গ তথা নির্বাহী, আইন ও বিচার বিভাগের মধ্যে সুসম্পর্ক ও সমন্বয়ের কোন বিকল্প নেই।

রাষ্ট্রপতি দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করে বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের উন্নয়নের রোল মডেল হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে। সরকার দেশের আইনের শাসনের পাশাপাশি সুশাসন প্রতিষ্ঠা করে জনগণের প্রত্যাশা পূরণে বদ্ধপরিকর। রাষ্ট্রপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় রূপকল্প-২০২১ ও রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নে সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা, আইন-বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক, বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস এসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বিকাশ কুমার সাহা এবং সুপ্রিম কোর্টের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. জাকির হোসেন।  অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারকসহ প্রায় দেড় হাজার বিচারক দিনব্যাপী এই বিচার বিভাগীয় সম্মেলনে যোগ দেন। সূত্র: বাসস।

 

আর/এসএইচ


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি