উদ্ভাবনের সূচকে তলানিতে বাংলাদেশ, কিন্তু কেন?
প্রকাশিত : ১২:৫৭, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮
নানা দেশের উদ্ভাবনী ক্ষমতার ওপর যে তালিকা তৈরি হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের অবস্থানই সবার পেছনে। আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ইনোভেশন ইনডেক্স ২০১৮ অনুযায়ী, তালিকার সর্বনিম্নে আছে বাংলাদেশ, আর তার পাশাপাশি অন্যান্য দেশগুলো হচ্ছে শ্রীলংকা, পাকিস্তান, নেপাল এবং কাজাখস্তান।
আর এশিয়া অঞ্চলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উদ্ভাবনী শক্তি দেখা যায় যে দেশে - তা হলো সিঙ্গাপুর। গত জুলাই মাসে এই রিপোর্টটি প্রকাশ করা হয়।
কিন্তু বাংলাদেশে যারা নিজেদের উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে একটা নতুন কিছু তৈরি করতে চান, তাদের ঠিক কী ধরনের সমস্যা মোকাবেলা করতে হয়?
তরুণ উদ্ভাবকদের পথ দেখানোর লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশে ২০১৫ সালে চালু হয় `দ্য ইনোভেশন হাব`।
এর প্রতিষ্ঠাতা ইমরান ফাহাদ বলছেন, এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা হচ্ছে ফান্ডিং-র অভাব।
তিনি বলছেন, উদ্ভাবকরা জানেন না তাদের আইডিয়া নিয়ে কোথায় যেতে হবে, তারা যেটা তৈরি করতে যাচ্ছেন তার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থই বা কোথা থেকে জোগাড় হবে?
তিনি আরো বলেন, ‘এধরনের প্রকল্পের জন্য সরকারের কাছে অর্থ ঠিকই রয়েছে। শুধু সে সম্পর্কে মানুষকে আরো বেশি বেশি করে জানাতে হবে।’
প্রযুক্তিবিদ অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদ মনে করেন, বাংলাদেশ উদ্ভাবনী শক্তির দিকে থেকে অন্য কোন দেশের চেয়ে কম নয়।
তিনি বলেন, উন্নত দেশগুলোর জনঘনত্ব ও বিনিয়োগ বিবেচনা করলে বাংলাদেশের উদ্ভাবনীশক্তির বিষয়ে কোন অভিযোগ করা চলে না।
তিনি উদ্ভাবকদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে চিহ্নিত করেন মেধার পরিচর্যার অভাবকে। পাশাপাশি, নানা ধরনের ভৌত সমস্যাও রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, যিনি পাবনায় বসে নতুন একটা কিছু বানাতে চান, তার সামনে নানা সমস্যা। এর মধ্যে তার কাছে বিদ্যুৎ নেই, ইন্টারনেট সংযোগ নেই। তার কাজের দেখাশোনা জন্য রয়েছে মেন্টরের অভাব।
মোহাম্মদ কায়কোবাদ বলেন, বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতের জন্য বহু সফটওয়্যার রয়েছে। কিন্তু তারপরও ব্যাংক মালিকরা বিদেশ থেকে কেনা সফটওয়্যার ব্যবহার করতে বেশি পছন্দ করেন। এটাকে আপনি কী বলবেন?"
গবেষণার খাতে সরকারি অর্থায়নের নিয়মকে সম্পুর্ণভাবে বদলে দেওয়া দরকার বলে তিনি মন্তব্য করেন। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে গবেষণার জন্য কিছু অর্থ বরাদ্দ থাকে বলে তিনি জানান, কিন্তু প্রকৃত গবেষণার বদলে সেই টাকা ব্যয় হয়ে যায় যন্ত্রপাতি কেনাকাটায়।
সূত্র: বিবিসি বাংলা
এমএইচ/
আরও পড়ুন