ঢাকা, বুধবার   ১৬ জুলাই ২০২৫

‘নিয়মিত প্রেসক্লাবে যেতাম, আড্ডা দিতাম’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:৪২, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

সাংবাদিকদের সঙ্গে নিজের সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আন্দোলন-সংগ্রাম করতে গিয়ে নিয়মিত প্রেস ক্লাবে যেতাম। আড্ডা দিতাম, চা-পুরি, সিঙ্গারা খেতাম।

আজ বুধবার সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত অসুস্থ, অসচ্ছল ও দুর্ঘটনাজনিত আহত এবং নিহত সাংবাদিক পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সহায়তা ভাতা/অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে ১১৩ জন অসুস্থ ও অস্বচ্ছল সাংবাদিক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের হাতে অনুদানের চেক তুলে দেন শেখ হাসিনা।

নিয়মিত পত্রিকা পড়ার অভ্যাসের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সকালে এক কাপ চা ও একটি পত্রিকা যে কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ! টেলিভিশন বন্ধ রেখে সকালে পত্রিকা নিয়ে বসি। সব পত্রিকা যে পক্ষে লেখে তা নয়। প্রয়োজনীয় সংবাদগুলো মার্ক করি। সংশ্লিষ্টদের ব্যবস্থা নিতে বলি। সংবাদপত্র থেকে অনেক তথ্য পাই। দুর্গম জায়গার অনেক তথ্যও সংবাদপত্রে আসে। তাতে আমরা সহযোগিতা পাই। এজন্য সাংবাদিক ও সংবাদপত্রের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।

সাংবাদিক ও গণমাধ্যমের প্রতি জাতির জনক আন্তরিক ছিলেন এমনটা জানিয়ে তার কন্যা বলেন, ‘আপনারা জানেন, স্বাধীনতার সময় পাকিস্তানিরা পত্রিকা পুড়িয়ে দিয়েছিল। স্বাধীনতার পর সব সাংবাদিককে কিন্তু সরকারি চাকরির মর্যাদা দিয়ে ভাতার ব্যবস্থা করেছিলেন জাতির জনক। তাদের অনেককে সরকারি চাকরি দিয়েছিলেন। এই সুযোগ দেয়ার জন্য একটি কমিটিও করা হয়েছিল। যদিও সেই কমিটির সদস্যরা পঁচাত্তরের পর সবচেয়ে বড় সমালোচক হয়েছিল।

সাংবাদিকদের আবাসন সমস্যা সমাধানের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ন্যাম ফ্ল্যাট যখন করা হয় তখন বলেছিলাম সাংবাদিক, সাহিত্যিক ও শিল্পীদের জন্যও বরাদ্দ থাকবে। কিন্তু আমরা আর আসতে পারিনি। এখন কিছু ফ্ল্যাট হচ্ছে, যা ভাড়া দিয়েই মূল্য পরিশোধ করা যাবে। এছাড়া প্লট যখন দেওয়া হয় তখন অনেকেই পেয়েছেন। তবে এখন মনে হচ্ছে প্লট না দিয়ে ফ্ল্যাট করে দিলে অনেককে দিতে পারতাম।

জাতির পিতার উদ্ধৃতি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতা সংবাদপত্রের পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছিলেন। আমরাও তাতে বিশ্বাস করি। স্বাধীনতা ভালো, তবে বালকের জন্য নয়। বালকীয় আচরণ যেন কেউ না করে।’

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ২০০৮ সালের নির্বাচনে দিন বদলের কথা বলেছিলাম। দিন বদল হয়েছে, এটা এখন স্বীকার করবেন। তিনি বলেন, শুধু এতটুকু বলব, উন্নয়নে চেষ্টা করে যাচ্ছি, সফল কতটুকু, সুফল কতটুকু পেল মানুষই তা বিচার করবে। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাজ করা এটা আমার দায়িত্ব।

তিনি বলেন, মাঝে মাঝে চিন্তা করি এত পরিশ্রম করি এতে লাভ কী। মূলত লাভের চিন্তা করি না। কী দিতে পারলাম, কী পরিবর্তন আনতে পারলাম সেটাই বিবেচ্য বিষয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, তথ্য মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রহমত আলী এমপি প্রমুখ।

 

/ এআর /


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি