ঢাকা, রবিবার   ২০ জুলাই ২০২৫

বিনিয়োগ বান্ধব রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে

প্রকাশিত : ১০:৪৭, ১২ অক্টোবর ২০১৬ | আপডেট: ১০:৪৭, ১২ অক্টোবর ২০১৬

Ekushey Television Ltd.

ভারত বিরোধিতা চীনকে পাকিস্তান ঘনিষ্ট করেছে ঐতিহাসিকভাবে আর সেই সুসম্পর্ক এখনো বিদ্যমান। কিন্তু বিশ্বায়নের এই যুগে পাশ্চাত্য যখন শ্রেষ্ঠত¦ হারাচ্ছে অর্থনৈতিক দৃঢ়তায় তখন এশিয়া গর্জে উঠছে ভারত-চীন-রাশিয়ার আধিপত্যে। সেখানে ভৌগলিক কারণ তো বটেই বিনিয়োগ বান্ধব রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ হয়ে উঠেছে স্মরণকালের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে। রাজনীতি আর কূটনীতিকে ছাপিয়ে মুখ্য যেখানে অর্থনীতি। মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত-রাশিয়া বাংলাদেশের পাশে থাকলেও এশিয়ার আরেক মহাপরাক্রমশালী দেশ চীন পক্ষ নেয় পাকিস্তানের। এমনকি পঁচাত্তরের আগে তাদের কাছ থেকে মেলেনি স্বাধীন দেশের স্বীকৃতি। কিন্তু কূটনীতির দোলাচালে সমর্থন দিতে না পারলেও পাকিস্তানকে স্বশস্ত্র আক্রমনে মদদ দেয়নি তারা। ইতিহাস আরো বলে, জাতিসংঘে ভেটো ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশের বিভিন্ন সংস্থায় সদস্যপদ পেতে বাঁধা হয়ে দাড়ায়নি তারা। বাংলাদেশও বন্ধুত্ব আর ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় পররাষ্ট্রনীনির বাইরে যায়নি। সবার সাথে বন্ধুত্ব কারো সাথে বৈরীতা নয় এমন নীতিতে অটল বাংলাদেশের ডাকে সাড়া দিয়েছে চীন। বিশ্বায়নের এই যুগে এসে মুখ্য হয়ে দাড়িয়েছে অর্থনৈতিক উন্নয়ন। আর সেকারণেই ভৌগলিকভাবে সুবিধেজনক অবস্থানে থাকা বাংলাদেশকে পাশে চায় চীন। এমনকি, যুক্তরাষ্ট্র আর ভারতকে মোকাবেলা করতেও তারা চায় অন্তত বাংলাদেশ থাকুক নিরপেক্ষ দূরত্বে। অন্যদিকে বাংলাদেশও চায় অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আর সেকারণেই চীনের সাথে সব সম্পর্ক দেখছে ইতিবাচক চোখেই। আঞ্চলিক ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ চায় বন্ধুপ্রতীম সব রাষ্ট্রের মধ্যে সহবস্থান হোক অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বার্থেই।
Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি