ঢাকা, রবিবার   ২৭ জুলাই ২০২৫

সংস্কারের অভাবে জীর্ন অবস্থায় দাঁড়িয়েছে বিবিচিনি শাহী মসজিদ

প্রকাশিত : ১২:১৭, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৬ | আপডেট: ১২:১৭, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৬

Ekushey Television Ltd.

সংস্কারের অভাবে জীর্ন অবস্থায় দাঁড়িয়েছে প্রাচীন স্থাপত্যকলার অন্যতম নিদর্শন বরগুনার বিবিচিনি শাহী মসজিদ। প্রায় সাড়ে তিনশ’ বছরের পুরোনো এই মসজিদটিতে রয়েছে মোঘল স্থাপত্যরীতির ছাপ। ১৬৫৯ সালে পারস্যের সাধক হযরত শাহ্ নেয়ামত উল্লাহ’র তৈরি করা মসজিদটি সংস্কার করে সংরক্ষণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীরা। বেতাগী সদর থেকে উত্তরে ১০ কিলোমিটার পথ এগোলেই বিবিচিনি গ্রাম। দিগন্ত জোড়া সবুজের বর্ণিল রূপ। ৪০ ফুট উচু টিলার উপর দাঁড়িয়ে ঐতিহাসিক বিবিচিনি মসজিদ। ৪০ ফুট দৈর্ঘ্য-প্রস্থের বর্গাকার মসজিদটির উত্তর ও দক্ষিণে রয়েছে খিলান আকৃতির প্রবেশপথ। নামাজিদের ওঠানামার জন্য মসজিদের দক্ষিণ ও পূর্বদিকে দীর্ঘ এই সিঁড়ি। আয়তনে অতটা বৃহৎ না হলেও পুরোনো মসজিদটির স্থাপত্য রীতিতে মোঘল ভাবধারা সুস্পষ্ট। ষোড়শ শতকে পারস্য থেকে ধর্ম প্রচারে দিল্লি আসেন সাধক হজরত শাহ নেয়ামত উল্লাহ। বাংলার সুবেদার শাহ সুজা তাঁর শিষ্যত্ব গ্রহণ করলে সুজার অনুরোধে মসজিদটি নির্মাণ করেন তিনি। পরবর্তীতে শাহ নেয়ামতের মেয়ে চিনিবিবির নামে মসজিদটি বিবিচিনি নামেই পরিচিতি পায়। জনশ্র“তি রয়েছে এখানে এসে কোনকিছু চাইলে সে আশা পূর্ণ হয়। মনোবাসনা পূরণে তাই প্রতিদিনই এখানে আসেন অসংখ্য মানুষ। তবে প্রাচীন এ স্থাপনার পুরোটাজুড়ে শুধুই অযতœ আর অবহেলার ছাপ। ১৯৮৫ সালে মসজিদটি একবার সংস্কার করা হয়। এরপর কেটে গেছে অনেকগুলো বছর। তাই অযতœ-অবহেলায় অনেকটাই জীর্ণদশা। পুরোনো নকশা অক্ষুণœ রেখে অচিরেই মসজিদটি সংস্কার করার আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। ১৯৯২ সালে মোঘলদের প্রাচীন মসজিদটি ঐতিহাসিক নিদর্শনের তালিকাভুক্ত করে প্রতœতত্ত্ব বিভাগ।
Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি