আন্দোলনের মুখে ‘আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা’ প্রত্যাহার করে বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় আজকের এই দিনেই
প্রকাশিত : ১০:০৮, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ | আপডেট: ১০:০৮, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
ভাষা আন্দোলন আর ছয় দফার পথ ধরেই মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে কোটি বাঙালি। প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসনের রূপরেখায় স্বাধীকারের ৬ দফার কন্ঠ রোধ করতেই শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের হয় ‘আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা’। আন্দোলনের মুখে মামলা প্রত্যাহার করে বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় পাকিস্তানি শাসকরা। আজকের এই দিনেই মুক্তি পান বঙ্গবন্ধু। উত্তাল সেই দিনগুলোর স্মৃতিচারণ করে বঙ্গবন্ধুর আইনজীবী ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলাম জানালেন, স্বাধীনতার ইতিহাসে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার প্রেক্ষাপট।
১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বাঙালিদের ওপর শুরু হয় শোষণ-নিপীড়ন। কোনঠাঁসা করে ফেলা হয় পূর্ব বাংলাকে। আন্দোলন-সংগ্রামের পথ ধরে প্রাদেশিক স্বায়ত্ত্বশাসনের পক্ষে বঙ্গবন্ধু ডাক দেন ৬ দফার। সামরিক শাসক আইয়ুব খান কোনোভাবেই তা মেনে নিতে পারেনি।
দেশ জুড়ে ছয় দফার পক্ষে জনমত গড়তে থাকেন বঙ্গবন্ধু; সব শ্রেণী পেশার মানুষকে জানান, তার স্বাধীকারের রূপরেখা। বঙ্গবন্ধুর ঠিকানা হয়ে দাঁড়ায় জনসভার মঞ্চ আর জেলখানা।
দেড় হাজার বাঙালিকে গ্রেফতার করে পাকিস্তান পুলিশ। ১৯৬৮ সালে স্বরাষ্ট্র দফতর বঙ্গবন্ধুর নামে মিথ্যা দেশদ্রোহীর তকমা লাগিয়ে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা করে।
পশ্চিমে ভুট্টোর তুমুল আন্দোলন আর পূর্বে মুজিবকে মুক্ত করতে গগন বিদারি শ্লোগানঃ ’জেলের তালা ভাঙবো, শেখ মুজিবকে আনবো’। জনতার আন্দোলনে নত স্বীকার করে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী। মামলা তুলে নিয়ে বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়।
আগরতলা ষড়যন্ত্রের মামলা থেকেই বাঙালী সিদ্ধান্ত নেয় স্বায়ত্ত্বশাসন নয়, চাই স্বাধীকার।
আরও পড়ুন