ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার গণকবর স্বাধীনতার ৪৬ বছর সংরক্ষণ করা হয়নি
প্রকাশিত : ১৮:০২, ৩ মার্চ ২০১৭ | আপডেট: ১৮:০২, ৩ মার্চ ২০১৭
একাত্তরে জীবন বাঁচাতে টুপি পরে এমনকি হানাদার ও তাদের এদেশীয় দোসরদের সামনে গরুর মাংস খেতে হয়েছিল ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার অনেক হিন্দু পরিবারের সদস্যদের। তবুও শেষরক্ষা হয়নি; জীবন দিতে হয়েছে তাদের। রাজাকার-আলবদরদের সহায়তায় এসব গণহত্যা চালিয়েছিল পাকিস্তানী বাহিনী। স্বাধীনতার ৪৬ বছর তাদের গণকবর সংরক্ষণ করা হয়নি।
ভোরের আলো ফুটেনি তখনও। মুক্তাগাছার হিন্দু অধ্যুষিত শশা গ্রামের দুই শতাধিক পরিবারের মানুষজন ছিল ঘুমিয়ে। এরই মধ্যে রাজাকার ও আলবদরদের সহায়তায় পাকিস্তানী সেনারা ঘিরে ফেলে পুরো গ্রাম। ঘরের দরজা ভেঙ্গে ধরে এনে লাইনে দাঁড় করিয়ে এই পুকুর পাড়ে ব্রাশফায়ারে হত্যা করা হয় ১৪ নিরীহ গ্রামবাসীকে। তারপর চলে লুটপাট আর অগ্নিসংযোগ। হায়েনারা চলে যাওয়ার পর ধানক্ষেতে এই ভিটায় এক কবরে মাটিচাপা দেয়া হয় তাদের।
শশা গ্রাম ছাড়াও বিনোদবাড়ি মানকোন, দড়িকৃষ্ণপুর, বনবাড়িয়া, কাতলসার, মির্জাকান্দা, কৈয়ার বিলপাড় ও বাইয়া বিল পাড়সহ প্রায় ২ শতাধিক বধ্যভূমিতে হানাদারদের গুলিতে শহীদ হয় অন্তত হাজারো নারীপুরুষ। স্থানীয়ভাবে চিহ্নিত হলেও সরকারিভাবে তা সংরক্ষণে আজও নেয়া হয়নি কোন উদ্যোগ।
গণকবরগুলো সংরক্ষণে উদ্যোগ নেয়ার আশ্বাস দিলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান।
জেলার সব গণকবর ও বধ্যভূমি চিহ্নিত করে স্মৃতিফলক করা হবে- এমনটাই প্রত্যাশা শহীদ পরিবারের সদস্যসহ ময়মনসিংহবাসীর।
আরও পড়ুন