ঢাকা, শুক্রবার   ১০ মে ২০২৪

বিশ্বের কোনো দেশেই ডেঙ্গুর কার্যকরী টিকা নেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:৪৯, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বিশ্বের কোনো দেশেই ডেঙ্গুর কার্যকরী টিকা নেই। তবে বাংলাদেশে আইসিডিডিআরবির তৈরি টিকা ডেঙ্গুর চারটি ভাইরাসেই কার্যকর বলে শোনা যাচ্ছে। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছ থেকে এ টিকার অনুমোদন নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহেদ মালেক।

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মানিকগঞ্জে নিজ বাসভবনে স্থানীয় সাংবাদিকের সঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, টিকা নিয়ে গবেষণা কিন্তু বিশ্বব্যাপী চলছে। ইতোমধ্যে দুটি টিকাও আবিষ্কার হয়েছে। কিন্তু সেই টিকাগুলো ব্যবহার হয় না, টিকাগুলোতেও আবার কিছু সমস্যা আছে। চার ধরণের ডেঙ্গু আছে, ভাইরাস আছে। টিকা নিলে দেখা যায় কিছু ভাইরাস দমনে হচ্ছে, কিন্তু সব ভাইরাস দমন হয় না। আর যারা একবার ডেঙ্গুর টিকা নিয়েছে তাদেরকে অন্য ভাইরাসে আক্রমণ করলে তাদের অবস্থা বেশি গুরুতর হয়ে যায়। যে কারণে বিশ্বব্যাপী ডেঙ্গুর টিকা ব্যবহার হচ্ছে না।

মন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু রোগীতো আছে, তবে জনসাধারণকে সচেতনতা বাড়াতে হবে। প্রতিদিনই ডেঙ্গু পরীক্ষা করতে হবে। অনেক সময় দেরি করে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ক্ষেত্রে রোগীকে তখন চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে তোলাও কঠিন হয়ে যায় এবং অনেক সময় রোগী মারাও যান। সেই জন্য তড়াতাড়ি ডেঙ্গু পরীক্ষা ও চিকিৎসা নেয়া প্রয়োজন। তবে আমরা আশা করছি ধীরে ধীরে আমাদের দেশে ডেঙ্গু কমে যাবে।

তিনি বলেন, বর্তমানে প্রতি মাসে ডেঙ্গুর জন্য প্রয়োজন হলো ২০ লাখ ব্যাগ স্যালাইন। ডেঙ্গু আক্রান্তের হার যদি বর্তমানের চেয়ে বেড়ে যায় সেই ক্ষেত্রে স্যালাইনের প্রয়োজন হবে ৩০ লাখ ব্যাগ। সে কারণে আমি মনে করি, এখন আর সেইভাবে হাহাকার ঘাটতি নাই। আমরা চাই ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কমে যাক।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের সকল দেশ যাতে শতভাগ যক্ষা নির্মূল করতে পারে। সেই তুলনায় আমাদের দেশে আগের চেয়ে এখন প্রায় ৫০ ভাগ যক্ষা রোগী কমে গেছে। যক্ষার ব্যাপারে আমাদের লক্ষ্য আছে, আমারাও ২০৩০ সালের মধেই যক্ষা শতাভাগ নির্মূল করবো। সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

মন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে আমাদের দেশের স্বাস্থ্যে যক্ষা, চক্ষু ও কমিউনিটি ক্লিনিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিক প্রধানমন্ত্রীর নিজস্ব একটি উদ্যোগ, সেটি জাতিসংঘ স্বীকৃতি দিয়েছে। যেটার নাম শেখ হাসিনা ইনিসেয়েটিভ।

এমএম//


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি