ঢাকা, সোমবার   ২৯ এপ্রিল ২০২৪

দলে ফিরতে সাধারণ ক্ষমা চান মুরাদ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:৫৫, ২২ ডিসেম্বর ২০২২

বিতর্কিত মন্তব্য ও অডিও কেলেঙ্কারিতে মন্ত্রিত্ব ও দলীয় পদ হারানো মুরাদ হাসান আবারও আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হতে চান। এ জন্য দলীয় প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ‘সাধারণ ক্ষমার’ আবেদন করেছেন।

জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী) আসনের এ সংসদ সদস্য বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের প্যাডে এ আবেদন করেন বলে তার ব্যক্তিগত প্রতিনিধি সরিষাবাড়ী পৌরসভার কাউন্সিলর সাখাওয়াত হোসেন মুকুল জানান।

এ বিষয়ে মুরাদ একটি গণমাধ্যমকে বলেন, আমি সাধারণ ক্ষমার জন্য আবেদন করেছি। আমি আশা করছি প্রধানমন্ত্রী আমাকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। চিঠিতে মুরাদ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, ভবিষ্যতে এমন কোনো কাজ তিনি করবেন না, যাতে দলের সন্মানহানি হয়।

মুরাদের চিঠির বিষয়ে আওয়ামী লীগের ময়মনসিংহ বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল বলেন, চিঠি আমি হাতে পাইনি, হয়ত এখন পাব। যেহেতু দপ্তরে জমা দিয়েছেন এবং তিনি ক্ষমা চেয়ে আবেদন করেছেন, আমরা বিষয়টি আজকের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির মিটিংয়ে উত্থাপন করবো, সিদ্ধান্ত কি সেটা মিটিংয়ে হবে।

গতবছর খালেদা জিয়ার নাতনি জাইমা রহমানকে নিয়ে ফেইসবুকে এক টকশোতে বর্ণ ও নারী বিদ্বেষী বক্তব্যের জন্য কড়া সমালোচনা মুখে পড়েন মুরাদ।

এর মধ্যে এক চিত্রনায়িকাকে টেলিফোনে অশালীন মন্তব্য ও হুমকি দেয়ার একটি অডিও ছড়িয়ে পড়লে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন।

প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করার পর জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদকের পদ থেকেও মুরাদকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

২০২১ সালের ৭ ডিসেম্বর দুপুরে ইমেইলে মুরাদের পাঠানো পদত্যাগপত্র তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে পৌঁছায়। সেখানে তিনি লেখেন, প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে ‘ব্যক্তিগত কারণে স্বেচ্ছায়’ তিনি পদত্যাগ করতে চান।

পদত্যাগপত্রে মুরাদ লিখেছিলেন, তাকে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ২০২১ সালের ১৯ মে, যদিও ওই দায়িত্বে তিনি এসেছিলেন ২০১৯ সালের ১৯ মে।

ওই ভুলের কারণে এবং ইমেইলে পাঠানোয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ তা ফেরত পাঠায়। পরে ভুল সংশোধন করে ‘হার্ড কপি’ আকারে দেয়া হলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ তা গ্রহণ করে।

বর্তমানে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য মুরাদ তার সাধারণ ক্ষমার আবেদনে বলেন, আমার বাবা মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিয়র রহমান তালুকদার ছিলেন জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি। জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ২০২১ সালে ৭ ডিসেম্বর উক্ত পদ থেকে আমোকে অব্যাহতি প্রদান করে।

এমএম/ 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি