ঢাকা, শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪

যে পরিকল্পনায় এশীয় টিমের রেকর্ড টপকেছে বাংলাদেশ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:৪৪, ১১ মার্চ ২০১৮ | আপডেট: ১৩:৩১, ১২ মার্চ ২০১৮

টি-২০ ম্যাচে এত বেশি রান তাড়া করে জেতা প্রথম এশীয় দেশ হিসেবে বাংলাদেশের প্রশংসা করছে ভারতীয় মিডিয়াও। কারণ এর আগে আর কোনো এশীয় টিম এটা পারেনি। কিন্তু গতকাল শনিবার শ্রীলঙ্কার মাটিতে শ্রীলংকার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ রেকর্ড জয়ের দেখা পেয়েছে।

এর আগে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ১৬৩ রান তাড়া করার রেকর্ড ছিল। যে দলের কখনও ১৭০ রান তাড়া করারও রেকর্ড ছিলো না, তারাই কিনা গতকাল ২১৪ রান টপকে গেল। তাও আবার প্রতিপক্ষের মাঠে।

সদ্য বাংলাদেশ সফর করে যাওয়া শ্রীলঙ্কা টিম টেস্ট, ওয়ান ডে আর টি-২০, বলা যায় তিন ডিপার্টমেন্টেই বাংলাদেশকে মাটিতে শুইয়ে দিয়ে গেছে। এর প্রভাবে হারতে হারতে খাদের কিনারায় চলে গিয়েছিল টাইগাররা। এমন অবস্থায় নয়া ক্যাপ্টেন মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদের দলের জন্য প্রয়োজন ছিল একটি জয়ের।

দেশের মাঠে টানা সিরিজ হারের ধকল নিয়ে বাংলাদেশ পা রেখেছিল কলম্বোয়। শ্রীলঙ্কার দেওয়া ২১৫ রানের টার্গেটে ২ বল এবং ৫ উইকেট হাতে রেখেই পৌঁছে গেল বাংলাদেশ অভীষ্ট বন্দরে। এটিই বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড। যে জয়ে শেষের নায়ক হয়ে থাকলেন মুশফিকুর রহিম। ৩৫ বলে ৫ চার এবং ৪ ছক্কায় ৭২ রানের বিধ্বংসী ম্যাচ জেতানো ইনিংস উপহার দেন এই টাইগার।

ভারতের কাছে হেরে নিদাহাস ট্রফির শুরুটাও ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ঘিরে ধরা বিষম চাপ নিয়ে রানের পাহাড় টপকানোর চ্যালেঞ্জ, কীভাবে সেটি উতরে গেল বাংলাদেশ? ম্যাচের পর তামিম ইকবাল এসেছিলেন সংবাদ সম্মেলনে।

ইনিংস বিরতিতে
২১৫ অনেক বড় স্কোর। তাই দলের সবাই বিশ্বাস করেছে, যদি পাওয়ার প্লে কাজে লাগানো যায় আর সেটা যদি ইনিংসের মাঝের ওভারগুলোয় টেনে নিয়ে যাওয়া যায়, তবে যেকোনো কিছুই হতে পারে।

২২ গজের পরিকল্পনা
তামিম বলেন, আমি-লিটন ক্রিকেটিং শট খেলতে থাকি। উইকেট খুব ভালো থাকায় বেশি জোরাজুরি করলেই বল ব্যাটে লাগে না। যদি ক্রিকেটিং শট খেলেন, তবে অনেক সুযোগ আসবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল ইনিংসের মাঝের ওভারগুলো। ওই সময় মুশফিক অসাধারণ ব্যাটিং করেছে।

বাংলাদেশি ব্র্যান্ডের ক্রিকেট
আমরা বাংলাদেশি ব্র্যান্ডের ক্রিকেট খেলতে পারি। আমাদের (মহেন্দ্র সিং) ধোনি নেই যে সাতে নেমে ম্যাচ শেষ করে আসতে পারে। আমাদের ক্রিস গেইল নেই যে প্রথম বল থেকেই ম্যাচ কেড়ে নিতে পারে। তবে আমাদের স্মার্ট ক্রিকেটাররা আছে। এ ছাড়া আমরা ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজকে অনুসরণ করতে পারি না। কারণ তাদের খেলোয়াড়দের ধরন একরকম, আমাদের আরেক রকম।

বেঙ্গালুরুর-ভূত তাড়ানো
যে ব্যাটসম্যান ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে ভুল করেছিল, কিন্তু শনিবার সে সেটি করেনি। ভালো খেলুন কিংবা খারাপ, একজন ব্যাটসম্যানের শেখার অনেক কিছু থাকে। তাই এটা ভালো দিক, খারাপ ম্যাচ থেকে শিখে একটা ম্যাচে আমরা অন্তত কাজে লাগিয়েছি। তাই ওই সময় মুশফিককে সমালোচনা করা হলেও আজ তাকে প্রশংসা করা উচিত।

যেতে হবে আরও সামনে
সাপোর্টিং স্টাফ বলেন, ম্যানেজমেন্ট, আমরা খেলোয়াড়েরা, সবাই চাচ্ছিলাম ভালো করতে, যাতে একটি ম্যাচ যেন জিতি। সবার চেষ্টা ছিলো, যে করেই হোক একটা ম্যাচ জিততেই হবে। গত সিরিজের পর আমরা খুব হতাশ ছিলাম। এখানেও প্রথম ম্যাচটা ভালো না করলেও এই জয় আমাদের অনেক আত্মবিশ্বাসী করবে।

একে//এসি


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি