ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৭ মে ২০২৪

তারকা ক্রিকেটর ও সেলুলয়েডে ক্রিকেট

প্রকাশিত : ১৯:২৬, ৩০ মে ২০১৯

শুরু হয়েছে ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আসর বিশ্বকাপ ক্রিকেট। এই বিশ্বকাপ ঘিরে ক্রিকেটপ্রেমীদের রয়েছে নানা উত্তেজনা। এক সময় এই ক্রিকেট ছিল রাজকিয় খেলা। কিন্তু কালে কালে তা এখন হয়ে উঠেছে সর্ব সাধারণের। ক্রিকেট এখন ছড়িয়ে গেছে বিশ্বের সর্বত্র। ক্রিকেট শুধু মাঠের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই, এটি নিয়ে নির্মিত হয়েছে বেশ কিছু সিনেমা। এমনকি পর্দার এমন অনেক তারকা রয়েছেন, যারা এই ক্রিকেট বেশ পছন্দ করেন। ছোট বেলাতেও তারা খেলতেন ক্রিকেট। বিশেষ করে আমাদের শোবিজ অঙ্গনের বেশ কয়েকজন তারকা রয়েছেন যারা ছোটবেলায় ক্রিকেট খেলতেন। কিন্তু পরবর্তিতে তারা যুক্ত হয়ে যান ভিন্ন পেশায়।

বর্তমানে আমাদের শোবিজে অনেক তারকা আছেন যারা একটা সময় ক্রিকেটপ্রেমী ছিলেন। এমনকি কেউ কেউ আছেন যারা জাতীয় ক্রিকেট দলের হয়েও খেলেছেন। তবে শেষ পর্যন্ত ক্রিকেট খেলায়াড় না হয়ে তারা হয়েছেন শোবিজ তারকা। এমনই এক তারকার নাম আদিল হোসেন নোবেল। তিনি চট্টগ্রামের স্থানীয় ক্লাবের হয়ে অনেকগুলো ম্যাচে সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশ জাতীয় দলে ক্রিকেট খেলবেন। কিন্তু সেই স্বপ্ন থেকে সরে চলে আসেন ভিন্ন পেশায়।

একই রকম একজন তারকা হচ্ছেন- বাংলা গানের যুবরাজ খ্যাত আসিফ আকবর। যিনি নব্বই দশকের শেষের দিকে ক্রিকেট নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৯ ক্রিকেট দলের হয়েও তিনি কয়েকটি ম্যাচ খেলেছেন। ক্রিকেটে নিয়মিত হওয়ার আগেই সঙ্গীত নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তিনি।

অন্য এক তারকা জনপ্রিয় ব্যান্ড দল মাইলসের অন্যতম সদস্য হামিন আহমেদ। তিনি বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের হয়ে কয়েকটি ম্যাচ খেলেছিলেন। ছোটবেলা থেকেই তার স্বপ্ন ছিল ক্রিকেটে নিয়মিত হবেন। কিন্তু গানের নিয়মিত হয়ে পড়ার কারণে ক্রিকেটে তাকে আর দেখা যায়নি।

এছাড়া কেউ কেউ আছেন শখের বশে ক্রিকেট খেলতেন। এমন একজন সঙ্গীতশিল্পী এসডি রুবেল। ছোটবেলা থেকে ক্রিকেট ভক্ত ছিলেন। চাঁদপুর ক্রিকেট লীগের পক্ষে কয়েকটি ম্যাচ খেলেন তিনি। তিনিও সঙ্গীতে ব্যস্ত হওয়ার ফলে ক্রিকেট খেলায় নিয়মিত হতে পারেননি।

এবার আলোচনা করা যাক কিছু সিনেমা নিয়ে। যেগুলোতে ক্রিকেট ছিল মূল গল্পের বিষয়বস্তু। সেই ১৯৫৩ সালের কথা। সেই সময় বৃটিশ পরিচালক অ্যান্থনি অ্যাস্কুইথ ‘দ্য ফাইনাল টেস্ট’ নামে একটি সিনেমা নির্মাণ করেন। এ সিনেমার কাহিনী রচনা করেন তখনকার জনপ্রিয় বৃটিশ নাট্যকার টেরেন্স রর্টিগান। এ সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্র ছিলেন স্যাম পামার। যে তার শেষ টেস্ট ম্যাচ খেলতে যাচ্ছে এবং তিনি চেয়েছিলেন একই ম্যাচে তার ছেলেও মাঠে থাকুক। কিন্তু তা আর হয়নি। তার ছেলে এক কবির পেছনে ঘুরে বেড়াতে থাকে। ‘দ্য ফাইনাল টেস্ট’ সিনেমাকে আনুমানিকভাবে বিশ্বের ক্রিকেটকেন্দ্রিক নির্মিত প্রথম সিনেমা বলা যায়।

এছাড়া রয়েছে ‘আউটসাইড এজ’ নামের একটি সিনেমা। এটি মূলত রিচার্ড হ্যারিসের লেখা একটি মঞ্চনাটক। এর বিষয়বস্তু একটি ক্রিকেট দলকে কেন্দ্র করে। যে দলটিকে খেলার বদলে বেশি চিন্তা করতে হয় খেলোয়াড়দের প্রেম ও দাম্পত্যবিষয়ক নানা জটিলতা নিয়ে। ১৯৮২ সালে এ মঞ্চনাটকটি টিভি সিনেমা হিসেবে নির্মাণ করা হয়। যা ওই সময় বেশ জনপ্রিয় হয়।

রয়েছে- ‘পি-টাং, ইয়াং, কিপারব্যাং’ নামের একটি সিনেমা। ১৯৮২ সালে বৃটিশ টিভি চ্যানেল ‘চ্যানেল ফোর’ যাত্রা শুরু করে। আর চ্যানেলটির যাত্রার দ্বিতীয় রাতেই প্রদর্শিত হয় পি-টাং, ইয়াং, কিপারবাং নামে টিভি সিনেমা। এ সিনেমার কাহিনী রচনা করেন জ্যাক রোজেনথ্যাল। সিনেমার মূল বিষয় ছিল অ্যালান ডাকওয়ার্থের ক্রিকেট প্রেম ও প্রেমিকার সঙ্গে প্রথম চুম্বন।

এছাড়াও রয়েছে ‘আর্থার’স হ্যালোড গ্রাউন্ড’, ‘প্লেয়িং অ্যাওয়ে’, ‘আওয়াল নাম্বার’, ‘লগান’, ‘ওয়ান্ডার্স অবলিভিয়ন’, ‘হিট ফর সিক্স’, ‘আই নো হাউ মেনি রানস ইউ স্কোর্ড লাস্ট সামার’, ‘সিনহলোকানায়া’ এবং বাংলাদেশের ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী-২’ নামের সিনেমা। এগুলোকে বলা যায় ক্রিকেট উন্মাদনাকে ছড়িয়ে দেওয়ার অন্যতম সেলুলয়েড ফিল্ম। 

এসএ/

 

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি