ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪

অনন্ত জলিলকে বয়কট করলেন শাওন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:৪১, ১১ অক্টোবর ২০২০

ধর্ষণ নিয়ে সারাদেশের মানুষই এখন সোচ্চার। সব শ্রেণী পেশার মানুষই এর বিরুদ্ধে কথা বলছে। অনেকে আন্দোলনে অংশ নিচ্ছে বা মানব বন্ধনে অংশ নিয়ে ধর্ষকদের ফাঁসি দাবি করছে। এরই অংশ হিসেবে চিত্রনায়ক অনন্ত জলিল ধর্ষণের বিরুদ্ধে একটি ভিডিও বার্তা দেন। সেখানে তিনি ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড চেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে অনুরোধ জানান।

কিন্তু তার ভিডিও’র শেষের দিকে জলিল নারীদের পোষাক নিয়ে কথা বলেন। তিনি নারীদের পোষাককে ধর্ষণের জন্য দায়ী করেন। আর এতেই শুরু হয় তার বিরুদ্ধে সমালোচনা। এর পরিপ্রেক্ষিতে অভিনেত্রী পরিচালক মেহের আফরোজ শাওন অনন্তকে বয়কটের ঘোষণা দিয়েছেন।

শাওন আজ রোববার এক ফেসবুক বার্তায় জানান, ‘আমি মেহের আফরোজ শাওন, বাংলাদেশের একজন চলচ্চিত্র ও মিডিয়াকর্মী এবং স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের সচেতন নাগরিক হিসেবে বাংলাদেশের নারীদের প্রতি কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য এবং অসংলগ্ন বক্তব্য সম্বলিত ভিডিও বার্তা দেয়ার জন্য জনাব অনন্ত জলিলকে বয়কট করলাম।’
   
অনন্ত জলিল তার বক্তব্যে বলেছিলেন- ‘আমাদের দেশে সমস্ত মেয়েদের উদ্দেশ্যে কিছু বলি। ভাই হিসেবে, সিনেমা, টেলিভিশন স্যোশাল মিডিয়াতে অন্য দেশের অশ্লীল ড্রেস আপ দেখে ফলো করার চেষ্টা করো। এবং ফলো করে সেইম ড্রেস আপ পরে ঘোরাঘুরি করো।’

এরপর তিনি বলেন, ‘এই চেহারার দিকে মানুষ না তাকিয়ে তোমাদের ফিগারের দিকে তাকায়। ফিগারের দিকে তাকিয়ে বখাটে ছেলেরা বিভিন্নভাবে মন্তব্য করে এবং রেপ করার চিন্তা তাদের মাথায় আসে। তোমরা কি নিজেদের মডার্ন মনে করো? এটা কি মডার্ন ড্রেস নাকি অশালীন ড্রেস।’

তিনি মেয়েদের শালীন পোশাক পরার কথায় জোর দেন। তিনি বলেন, ‘নিজেকে একটা ভদ্র মেয়ের পাশে দাঁড় করিয়ে দেখো কত বাজে লাগে। ছেলেদের মতো একটা টি-শার্ট পরে রাস্তায় বের হয়ে যাও। খুব মডার্ন তুমি। নিজেকে অনেক মডার্ন মনে করো। তারপর ইজ্জত হারিয়ে বাসায় যাও। হয় আত্মহত্যা করো, নয়তো কাউকে আর মুখ দেখাতে পারো না।’

অনন্ত জলিল বলেন, ‘শালীন ড্রেস পরলে যারা বখাটে, যারা ধর্ষণের চিন্তা-ভাবনা করে তারাও তোমার দিকে তাকাবে না। সম্মান করবে। মাটির দিকে তাকিয়ে চলে যাবে।’

এসি

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি