আগামীকাল আসছে নতুন বাজেট
প্রকাশিত : ১১:১৭, ৩১ মে ২০১৭ | আপডেট: ১৩:৪৫, ৩১ মে ২০১৭

ভ্যাটের হার বাড়িয়ে আয় বৃদ্ধি, বৃহৎ প্রকল্পে বড় অর্থায়ন আর পশ্চাদপদ অঞ্চল ও প্রতিবন্ধীসহ পিছিয়ে পড়াদের জন্য বিশেষ বরাদ্দ রেখে আগামীকাল আসছে ৪ লাখ কোটিরও বেশী টাকার নতুন বাজেট। যা চলতি অর্থবছরের চেয়ে ৬০ হাজার কোটি টাকা বেশী এবং আকারে ১৭ শতাংশ বড়। তবে একে উচ্চাভিলাষী মনে করছেন না, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। আর ১ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকার এডিপি এবং জিডিপিতে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রার আগামী বাজেটকে অর্থনীতিবিদরা বলছেন গতানুগতিক।
চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরে মূলবাজেট দেয়া হয়েছিল ৩ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকার। পরে বরাবরের মত আয়-ব্যয়ের গতিপ্রকৃতি দেখে সংশোধিত বাজেট ৩ লাখ ১৭ হাজার কোটি টাকায় কমিয়ে আনা হয়।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত তার নিজের টানা ১১তম বাজেট দিতে যাচ্ছেন চারলাখ কোটি টাকার ওপরে। নতুন বাজেটে আয় ধরা হতে পারে ২ লাখ ৯১ হাজার কোটি টাকা, যা পুরো বাজেটের ৭১ শতাংশ। ঘাটতি থাকতে পারে ১ লাখ ৯ হাজার কোটি টাকা যা বাজেটের ২৯ শতাংশ। ২০১৮-১৯এর বাজেটে কোন ঝুঁকি নেয়া যাবে না বলে অর্থমন্ত্রী ২০১৭-১৮ বাজেটকে নির্বাচনের আগে তার শেষ কার্যকর বাজেট বলছেন। তবে পশ্চাদপদ এলাকা, সংখ্যালঘু ও প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ বরাদ্দ রাখছেন অর্থমন্ত্রী।
চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরের চেয়ে প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা এবং সংশোধিত বাজেট থেকে ৮৩ হাজার কোটি বেশী হতে পারে আগামী বাজেট। আয়ও ৫০ হাজার কোটি টাকা বেশী ও ঘাটতি ছাড়াতে পারে এ লাখ কোটি টাকা। ভ্যাটের নতুন আইন ছাড়া আগামী বাজেটকে আয়-ব্যয়-ঘাটতি এবং ৭ দশমিক জিডিপির লক্ষ্যকে স্বাভাবিক বৃদ্ধি হিসেবে দেখছেন অর্থনীতিবিদরা।
বেতন-ভাতাসহ অনুন্নয়ন রাজস্ব বেড়ে এবার হতে পারে সোয়া দুই লাখ কোটি টাকা। আর নতুন বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীতে ব্যয়ের লক্ষ্য দেড় লাখ কোটি টাকা ছাড়াতে পারে। রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, পদ্মা সংযোগ সড়কসহ ৮টি বৃহৎ প্রকল্পে বড় অর্থায়ন হবে। এগুলোসহ প্রকল্পে ঠিক সময়ের খরচ এবং সমন্বিত আর্থিক পরিকল্পনার পরামর্শ অর্থনীতিবিদদের।
এবারো প্রায় আড়াই লাখ কোটি টাকা সংগ্রহের লক্ষ্য দেয়া হতে পারে এনবিআরকে। বাকি টাকা এনবিআর বহির্ভূত কর, কর ব্যাতিত প্রাপ্তি জোগাড়ের পরও ঘাটতি থাকবে লক্ষাধিক টাকা। এই ঘাটতির অর্ধেকের বেশী ৬০ হাজার কোটি টাকার বেশী অর্থমন্ত্রীকে অভ্যন্তরিণ উৎসের উপর নির্ভর করতে পারেন। তবে কম সুদে তিনি ৫০ হাজার কোটি টাকার বৈদেশিক ঋণ যদি জোগাড় করে ফেলতে পারেন তা হবে তা হবে অনেক বছরের মধ্যে আগামী বাজেটের সবচেয়ে বড় চমক।
আরও পড়ুন