ঢাকা, বুধবার   ১৫ মে ২০২৪

আজকের তরুণ-শিক্ষার্থীরাই ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রাণ : জব্বার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২২:১৫, ৬ অক্টোবর ২০১৮ | আপডেট: ২৩:২৩, ৬ অক্টোবর ২০১৮

আজকের দিনের তরুণ ও শিক্ষার্থীরাদেরকে ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রাণ বলে আখ্যায়িত করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশ ডিজিটাল খাতে যতুটুকু এগিয়েছে তা আরও বহুগুণে সামনের দিনগুলোতেই এই তরুণেরাই এগিয়ে নিয়ে যাবে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মন্ত্রী জব্বার। ‘বেসিস ইয়ুথ ফেস্ট-২০১৮’ এর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে এসব কথা বলেন তিনি।

বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস বেসিসের ২০-তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে পদার্পন উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন মোস্তাফা জব্বার। রাজধানীর হাতিরঝিলের অ্যাম্পিথিয়েটার মঞ্চে আয়োজিত এই ইয়ুথ ফেস্টে মন্ত্রী জব্বার আরও বলেন, “১৯৯৭ সালে প্রস্তুতি সম্পন্ন শেষে ১৯৯৮ সাল থেকে যাত্রা আরম্ভ করে বেসিস। প্রথমে আমাদের একটা ভয় ছিলো যে, এটি বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির জন্য মুখোমুখি কোন সংগঠন হয়ে যায় কী না। তবে সে সময় আমরা বুঝতে ঠিকই বুঝতে পেরেছিলাম যে, শুধু কম্পিউটার বিদেশ থেকে আমদানি করে আর এদেশে বাজারজাত করে দেশকে ডিজিটাল খাতে খুব বেশিদূর এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে না। সেই ভাবনা থেকে বেসিসের যাত্রা শুরু। আর আজ দেখেন আমরা ডিজিটাল খাতে কোথায় পৌঁছে গেছি”।

তিনি আরও বলেন, “আজ আমাদের দেশের ছেলেদের হয়তো স্যাটেলাইট তৈরির সক্ষমতা নেই কিন্তু স্যাটেলাইট পরিচালনার সক্ষমতা আছে। আমাদের স্যাটেলাইট কিন্তু এখন আমরাই পরিচালনা করছি। আর ডিজিটাল বাংলাদেশের এই স্বপ্নের শুরু কিন্তু সেই ১৯৭৩ সালে। তখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আইটিও’তে বাংলাদেশের সদস্যপদ নিশ্চিত করেন। তারপর ১৯৭৪ সালেই বাংলাদেশের বেতবুনিয়ায় স্থাপন করেন ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র। আর আজ তাঁর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা এবং তার ছেলে ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ডিজিটাল বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আগামীতে তোমরাই, এই তরুণরাই ডিজিটাল বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে”।  

বেসিস স্টুডেন্টস ফোরাম আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন তথ্য-প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, বেসিসের সভাপতি আলমাস কবীরসহ বেসিসের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ এবং আইটি খাতের উদ্যোক্তাগণ। অনুষ্ঠানে রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় সাত হাজার শিক্ষার্থী এতে সরাসরি অংশ নেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বেসিস স্টুডেন্টস ফোরামের আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন ফারুক।

অনুষ্ঠানে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, “আজ আমাদের দেশের ছেলেদের উদ্ভাবিত সফটওয়্যার আয়ারল্যান্ডের পুলিশ তাদের নিরাপত্তার জন্য ব্যবহার করে। আজ শ্যামলীতে বসে আমাদের দেশের ছেলেরা জাপানের লক্ষ-লক্ষ বাসা বাড়ির বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি চালু বা বন্ধ করে। এটা সম্ভব হয়েছে ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপান্তরের কাছে। ২০০৮ সালে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার আগে ১এমপিএস ব্যান্ডউইথের ইন্টারনেটের দাম ছিলো ৭৮ হাজার টাকা। আর আজ তা মাত্র ৪০০টাকা। ৮ দফায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছেলে ও উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে তা সম্পন্ন হয়েছে”।

এসময় মন্ত্রী জব্বার ও প্রতিমন্ত্রী পুলক ডিজিটাল খাতে উন্নতির ধারা অব্যাহত রাখতে হলে আওয়ামীলীগকে আবারও ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তারা।

অনুষ্ঠানে বেসিস সভাপতি বলেন, “বেসিসের ২০ বছর পূর্ণ হয়েছে। ১৯৯৮ সালে মাত্র ১৭ জন সদস্য নিয়ে যাত্রা আরম্ভ হয় বেসিসের। আজ আমাদের সদস্য সংখ্যা ১১০০ এরও বেশি। এই দীর্ঘ যাত্রায় বাংলাদেশের অনেক তরুণ তরুণী আইসিটি খাতে ক্যারিয়ার গড়েছেন যার একটা বড় কৃতিত্ব বেসিসের। সেই সফলতাকে উদযাপন করে নিতেই আমাদের এও আয়োজন"।

আলমাস কবির আরও বলেন, " দেশের ৫৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বেসিস স্টুডেন্ট ফোরামের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। তাই আমাদের উদযাপনের প্রথম অংশ আমরা এই তরুণ শিক্ষার্থীদের নিয়েই আয়োজন করেছি। একই সঙ্গে ২০ বছরের এই লম্বা সময় আসার পর আগামী ২০ বছরে আমরা কী করব তার একটি রুপরেখাও আমরা এসব অনুষ্ঠান থেকে দেওয়ার চেষ্টা করবো"।

অনুষ্ঠানের অন্যতম মূল আকর্ষণ হিসেবে ছিলো শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেশীয় প্রযুক্তবিদদের তৈরি কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন রোবট `টিভেট` এর সাক্ষাৎ। এছাড়াও থাকছে শিক্ষার্থীদের তৈরি তথ্যপ্রযুক্তি খাতভিত্তিক প্রকল্প প্রদর্শন, দেশসেরা প্রযুক্তিবিদদের অংশগ্রহণে `টেকটক`, বেসিস সদস্য প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে চাকরি মেলা ও কর্মশালা। এছাড়াও অনুষ্ঠানে দর্শকদের উদ্দেশ্যে গান পরিবেশন করবেন সংগীত শিল্পী পারভেজ, ব্যান্ডদল এলআরবিসহ অন্যান্য শিল্পীরা৷  


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি