আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে জোর দিবেন প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশিত : ২০:৫৪, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ১৬:৩৬, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭
মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের উপর দেশটির সেনাবাহিনীসহ সরকারি বাহিনীর চলমান নির্যাতন ও গণহত্যার বিষয়টি জাতিসংঘের এবারের অধিবেশনে জোরালোভাবে তুলে ধরবে বাংলাদেশ। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের জন্য জাতিসংঘের ‘আনান কমিশনে’র সুপারিশ বাস্তবায়নেও জোর দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের ৭২তম অধিবেশনে বক্তব্য দেওয়ার সময় এই প্রস্তাব দেবেন।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘের অধিবেশনে বাংলাদেশের যোগদানের বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন মন্ত্রী। এ সময় পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হকসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, গত তিন সপ্তাহে বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্তে ৪০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে প্রায় চার লাখ রোহিঙ্গা এসেছে, যাদের বেশির ভাগই নারী, শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠ নাগরিক। এর আগেও চার লাখের মতো রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়। অসহায় রোহিঙ্গাদের মানবিক দিক বিবেচনা করে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই রোহিঙ্গাদের নিয়ে বাংলাদেশ আজ সংকটের মুখোমুখি।
মন্ত্রী বলেন, এবারের অধিবেশনে রোহিঙ্গা ইস্যুটি জোরালোভাবে তুলে ধরবে বাংলাদেশ। রোহিঙ্গাদের উপর মিয়ানমার যে নির্যাতন-নিপীড়ন চালাচ্ছে তা বন্ধের দাবি জানানো হবে। পাশাপাশি তাদের নাগরিককে নিজ দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার দাবিও তোলা হবে জোরালোভাবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, এবারও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে বাংলায় বক্তৃতা করবেন। এবারের বক্তৃতায় শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা সংকটের কারণ এবং এর সমাধানের বিভিন্ন দিক তুলে ধরবেন। কফি আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের দাবি জানাবেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী একাত্তরে বাংলাদেশে যে গণহত্যা হয়েছে এর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দাবি জানাবেন।
নিরাপত্তা পরিষদ রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে যে বিবৃতি দিল সেটা বাংলাদেশ কীভাবে মূল্যায়ন করে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমরা চেয়েছিলাম নিরাপত্তা পরিষদ এই পরিস্থিতিতে একটা অবস্থান তুলে ধরুক। সেদিক থেকে এই বিবৃতি আমরা সময়োপযোগী ও জোরালো বলে মনে করি।
১২ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে সংস্থাটির সাধারণ পরিষদের ৭২তম অধিবেশনের উদ্বোধন হয়েছে। ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই অধিবেশন চলবে। ১৯ সেপ্টেম্বর সাধারণ বিতর্ক শুরু হবে। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের এ অধিবেশনে যোগ দিতে ১৭ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে পৌঁছানোর কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।
আরকে/ডব্লিউএন
আরও পড়ুন