ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪

ইতিহাসের পাতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৫৩, ১ জুলাই ২০২১

বাঙালির অধিকার আদায়ের সংগ্রাম, কিংবা সাংস্কৃতিক আন্দোলন; সবখানেই দারুণ উজ্জ্বল দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বিদ্যাপিঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ইতিহাস সৃষ্টি করেই স্থান করে নিয়েছে ইতিহাসের পাতায়। বাহান্নর ভাষা আন্দোলন, বাষট্রির শিক্ষা আন্দোলন, ঊনসত্তুরের গণঅভ্যুত্থানসহ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে জড়িয়ে আছে প্রতিষ্ঠানটি। অতীতের এসব অর্জনকে সঙ্গে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় একটি অসাম্প্রদায়িক-মননশীল জাতি গঠনে সামনের দিনগুলোতেও অগ্রণী ভূমিকা রাখবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়, শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে এমনই প্রত্যাশা সবার।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯২১ সালের ১ জুলাই যাত্রা শুরু। ঢাকার ঐতিহ্যবাহী রমনা এলাকার প্রায় ৬০০ একর জমিতে বিশ্ববিদ্যালয়টির ক্যাম্পাস বিস্তৃত। তবে মেধা-মনন, আর রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক নানা ঐতিহাসিক ভূমিকায় প্রতিটি বাঙালির প্রাণজুড়ে প্রতিষ্ঠানটির অবস্থান।

তাই ঐতিহাসিক কারণেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আলোচনা তুললে শিক্ষা ও গবেষণার তুলনায় এর রাজনৈতিক ভূমিকাই বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামসহ গণতান্ত্রিক বা জাতীয় জীবনে গুরুত্বপূর্ণ সব আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকায় ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ২৫ মার্চের কালরাত থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির কমপক্ষে ১৯ জন শিক্ষক, কয়েকশ’ শিক্ষার্থী, বহু কর্মকর্তা-কর্মচারির রক্তের ঋণ বাঙালি জাতি স্মরণ করে পরম শ্রদ্ধায়।   

শুধু তাই নয়, এর আগে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলনের নেতৃত্বেই ছিলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালরের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ডাকসু। এরপর ১৯৬৬ সালে বাঙালির মুক্তির সনদ ৬ দফা আন্দোলন এবং ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা অবিস্মরণীয়।

গবেষণা এবং জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে যোগ্য ও মননশীল মানুষ তৈরির ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়টির অবদান অনেক।  কিন্তু শতবর্ষে এসে শিক্ষা ও মৌলিক গবেষণায় প্রত্যাশা পূরণে পিছিয়ে পড়ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এক সময়ের প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত বিদ্যাপিঠটি হারিয়ে ফেলছে তার অবস্থান। রয়েছে নানা সমস্যাও।  

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: আখতারুজ্জামান বলেন, অনেক গবেষণা প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে, এই ধারাটি অব্যাহত রাখতে হবে। গবেষণা ও উদ্ভাবনী যে প্রয়াস, সেই প্রয়াসে আমাদেরকে থাকতে হবে।

রাজনৈতিক নেতৃত্ব, আর দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টির পাশাপাশি সংস্কৃতি বিকাশেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা অপরিসীম।

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস বলেন, যত কিছু ষড়যন্ত্র, বাঙালির স্বার্থবিরোধী সবকিছুর প্রতিরোধের ভূমিকায় দাঁড়িয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। অতীতের সুনামটা রক্ষা করে যাতে ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে জাতির জন্য ভূমিকা রাখতে পারে এটাই আমরা প্রত্যাশা করি।

১ জুলাই গৌরবের একশ’ বছর পার করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘদিন ধরে তালা ঝুলছে একাডেমিক ভবনে। তবুও শতবর্ষপূতির এই দিনে অনেক শুভেচ্ছা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

ভিডিও-

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি