ইলিশ ধরা নিষেধাজ্ঞায় সংকটে অনিবন্ধিত জেলেরা (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১২:৪৪, ১৪ অক্টোবর ২০২০

আজ থেকে টানা ২২ দিন ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ইলিশ প্রধান এলাকাতে নদীতে জাল ফেলতে পারবে না কেউই। নিষেধাজ্ঞার প্রথম থেকেই নিবন্ধিত জেলেরা খাদ্য সহায়তা পেলেও, সংকটে পড়েছেন অনিবন্ধিতরা। এ নিয়ে হতাশ নদী পাড়ের মানুষ।
ইলিশ আহরিত হয়, নদ-নদী, মোহনা ও সাগর থেকে। এর সাথে সরাসরি যুক্ত ৫ লাখ মানুষ। পরিবহন ও বিপণণসহ প্ররোক্ষভাবে যুক্ত আরও অন্তত ২০ লাখ। গেল কয়েক বছর ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে, মা ইলিশ সম্মৃদ্ধ এলাকায় মাছ আহরণে নিষেধাজ্ঞা থাকায় উৎপাদন বেড়েছে ইলিশের।
নিষেধাজ্ঞা চলাকালে, ইলিশ সমৃদ্ধ ৩৬ জেলার ১৫২ টি উপজেলায় ৭ হাজার বর্গ কিলোমিটার এবং সাগরের জলসীমায় কাউকে মাছ আহরণ করতে দেয়া হবে না।
জেলেরা বলছেন, ‘ইলিশ শিকারে সরকার যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, সেটা অবশ্যই ভাল সিদ্ধান্ত। এতে করে আমরা ভাল মানের ইলিশ পাবো। নিষেধাজ্ঞার ফলে সরকার আমাদেরকে যে চাল দিয়েছে, আশা করি তা দিয়ে চলতে পারবো।’
তবে এসময় জেলে পরিবারগুলোর জীবন ধারণের জন্য সহায়তা করছে সরকার। বরগুনায় নিষেধাজ্ঞার সময়ে জেলেদের ২০ কেজি করে করে চাল দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ।
তিনি বলেন, ‘বরগুনা জেলার ৩৭ হাজার জেলের জন্য ৭৪০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ পেয়েছি। প্রত্যেক জেলে পরিবার ২০ কেজি করে চাল পাবেন।’
সিরাজগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে দক্ষিণে এনায়েতপুর হয়ে চৌহালীর উমারপুর ও শাহজাদপুরের বেনুটিয়া পর্যন্ত প্রায় ৫০ কিলোমিটার এলাকা হচ্ছে ইলিশের অন্যতম প্রজনন ক্ষেত্র। নিষেধাজ্ঞার সময় ১৫ হাজার জেলের মধ্যে মাত্র ৫ হাজার জেলেকে ২০ কেজি চাল দেয়ার সিদ্ধান্তে হতাশ জেলেরা।
জেলেরা জানান, ‘খিদার জ্বালা সহ্য করতে না পেরেই তো আমরা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাল নিয়ে মাছ ধরি। চাল কবে দিবে, না দিবে তা জানি না। এখন আমরা কি খাবো? অনুদান দিলে আমরা সেভাবে চলবো।’
ক্ষতিগ্রস্ত জেলেদের সহায়তার দাবি জানিয়ে স্থানীয় মৎস্যজীবি সমিতির এক নেতা বলেন, ‘জেলায় অনেক অনিবন্ধিত জেলে রয়েছেন। নিবন্ধিতরা সহায়তা পেলেও তারা কোথায় যাবে?’
এদিকে মা ইলিশ রক্ষায় সার্বক্ষণিক নজরদারি থাকবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় মৎস্য কর্মকর্তা।
এআই/এমবি
আরও পড়ুন