ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে গাজায় ত্রাণ নিতে আসা ৬৭ জন নিহত
প্রকাশিত : ১০:১২, ২১ জুলাই ২০২৫

গাজার উত্তরাঞ্চলে জাতিসংঘের ত্রাণবাহী ট্রাকের অপেক্ষারত কমপক্ষে ৬৭ জনকে ফিলিস্তিনিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এসব হামলায় আরও বহু মানুষ আহত হয়েছেন।
রোববার (২০ জুলাই) উত্তর গাজার জিকিম ক্রসিং এলাকায় এই হতাহতের ঘটনা বলে জানিয়েছে বিবিসি।
ইসরায়েলি বাহিনী সেখানে ত্রাণের জন্য অপেক্ষারত জনতার ওপর হামলা চালালে প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে। দক্ষিণে আরেকটি বিতরণ কেন্দ্রের কাছে আরও ৬ জন নিহত হন। এর আগের দিন একইভাবে মারা গিয়েছিলেন ৩৬ জন।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী বা আইডিএফ বলেছে যে, তারা তাৎক্ষণিকভাবে সতর্কতামূলক গুলি চালিয়েছিল। তবে, এতে মৃতের এই সংখ্যা নিয়ে বির্তক রয়েছে বলে দাবি আইডিএফ’র।
হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজার অন্যান্য জায়গায় ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা অবস্থায় আরও ছয়জন নিহত হয়েছেন এবং ১৫০ জনের বেশি আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা গুরুতর।
জাতিসংঘও বলেছে, গাজার সাধারণ মানুষ ক্ষুধায় ভুগছেন এবং জরুরি ভিত্তিতে মৌলিক পণ্যের সরবরাহ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে।
উত্তর গাজার হতাহতদের গাজার শিফা হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। হাসপাতালের মেডিকেল ডিরেক্টর ড. হাসান আল-শায়ার রোববার বিবিসি অ্যারাবিককে জানিয়েছেন, হাসপাতালটি আহতদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে। আহতদের কাউকে কাউকে কাছাকাছি অন্যান্য ফিল্ড হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।
গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ৯০০ জনের বেশি মানুষ।
এদিকে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজার কেন্দ্রীয় অংশের এক ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় নতুন করে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে, যেখানে গত ২১ মাসে হামাসের বিরুদ্ধে স্থল অভিযান চালানো হয়নি।
আইডিএফ রোববার জানায়, দেইর আল-বালাহ শহরে অবস্থানরত স্থানীয় বাসিন্দা ও শরণার্থীদের তাৎক্ষণিকভাবে সেখান থেকে সরিয়ে ভূমধ্যসাগর উপকূলের আল-মাওয়াসি অঞ্চলের দিকে চলে যেতে বলা হয়েছে।
এই সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ ভবিষ্যৎ হামলার ইঙ্গিত হতে পারে—যা হাজার হাজার ফিলিস্তিনির মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।
এএইচ
আরও পড়ুন