ইসির সংলাপে আমন্ত্রিতদের জন্য সময় গড়ে ২ মিনিট
প্রকাশিত : ২০:৪৩, ২৯ জুলাই ২০১৭ | আপডেট: ১৬:৩৭, ৩০ জুলাই ২০১৭

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আগামী ৩১ জুলাই ধারাবাহিক সংলাপ শুরু করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এদিন বেলা পৌনে ১১টায় নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিষয়াদী নিয়ে সংলাপ শুরু হবে। আমন্ত্রিত অতিথিদের প্রত্যেকের জন্য সময় বরাদ্দ রাখা হয়েছে গড়ে ২ মিনিটি।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের পরিচালক (জনসংযোগ) এস এম আসাদুজ্জামান জানান, সংলাপে কমিশন প্রণীত নির্বাচনী কর্মপরিকল্পনা বা রোডম্যাপ উপস্থাপন করে এ বিষয়ে নির্বাচন বিশষজ্ঞ, রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, পর্যবেক্ষক, নারী নেত্রীসহ প্রধান অংশীজনদের মতামত নেয়া হবে। তাদের পরামর্শ ও মতামতের উপর ভিত্তি করে কমিশন তার কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবে।
এস এম আসাদুজ্জামান বলেন, প্রথম দিনে কমিশনের সংলাপে অংশ নিতে ৫৯ জন নাগরিক প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। মতবিনিময় সভার যে কার্যপত্র ইসি সচিবালয় চূড়ান্ত করেছে তাতে দেখা যায়, আমন্ত্রিত ৫৯ প্রতিনিধির জন্যে ২ ঘণ্টা সময় রাখা হয়েছে। সেই হিসেবে ইসির আলোচ্যসূচির ৭টি বিষয়ে আমন্ত্রিতদের প্রত্যেকে ২ মিনিটের মতো সময় পাবেন।
এই সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার স্বাগত ভাষণের জন্য সময় রাখা হয়েছে ১৫ মিনিট; সভা শেষে ধন্যবাদ জ্ঞাপনের জন্যও তিনি নেবেন ৫ মিনিট সময়।
ইসির নতুন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ রোববার যোগ দিয়েই সংলাপগুলো সঞ্চালনা করবেন।
আলোচ্য বিষয়
১. বিদ্যমান ইংরেজি আইন কাঠামো বিশেষ করে ‘দ্য রিপ্রেজেন্টেশন অব দ্য পিপল অর্ডার, ১৯৭২ এবং দ্য ডিলিমিটেশন অব কনস্টিটিউয়েন্সিস অর্ডিন্যান্স, ১৯৭৬’ যুগোপযোগী করে বাংলা ভাষায় প্রণয়ন।
২. বিগত নির্বাচনসমূহের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে অবৈধ অর্থ এবং পেশী শক্তির ব্যবহার রোধ কল্পে আইনি কাঠামো সংস্কার সংক্রান্ত প্রস্তাবনা।
৩.সংসদীয় এলাকার সীমানা নির্ধারণ কল্পে জনসংখ্যার পাশাপাশি ভোটার সংখ্যা, সংসদীয় এলাকার আয়তন, প্রশাসনিক অখণ্ডতা এবং যোগাযোগ ব্যবস্থাকে গুরুত্ব দিয়ে ডিজিটাল টেকনোলজি ব্যবহারের মাধ্যমে সীমানা নির্ধারণ।
৪. নির্বাচন প্রক্রিয়া যুগোপযোগী ও সহজীকরণের বিষয়ে আইনি কাঠামো ও প্রক্রিয়ায় প্রয়োজনীয় সংস্কার সাধন। প্রবাসী ভোটারদের ভোট দান নিশ্চিত করার বিষয়ে একটি আইন কাঠামোসহ প্রক্রিয়া প্রণয়নের জন্য প্রস্তাবনা।
৫. কর্ম পরিকল্পনায় বর্ণিত অন্যান্য কাঠামোকে যুগোপযোগী করার প্রস্তাবনা।
৬.নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও বিতরণ নিশ্চিত করার জন্য পরামর্শ।
৭. ভোট কেন্দ্র স্থাপন সংক্রান্ত কার্যক্রম যুগোপযোগী করার জন্য পরামর্শ।
৮.নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধন এবং নিবন্ধত রাজনৈতিক দল নিরীক্ষা সংক্রান্ত প্রস্তাবনা।
৯. সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কর্মপরিকল্পনার অতিরিক্ত কোনো প্রস্তাবনা।
সংলাপে যাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন- তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান, এম হাফিজ উদ্দিন খান, এডভোকেট সুলতানা কামাল, আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী, ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ, বেগম রাশেদা কে চৌধুরী, মির্জা আজিজুল ইসলাম, বেগম রোকেয়া এ রহমান, ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, বিচারপতি গোলাম রব্বানী, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. ফরাস উদ্দিন, ব্যারিস্টার রফিক-উল হক, ড. শাহদীন মালিক, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, সাবেক সচিব ড. সা’দত হোসেন, সিপিডির ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, মেজর (অব.) এসএম শামসুল আরেফিন, অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী, অধ্যাপক ড. অজয় রায়, ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ, অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, অধ্যাপক এম এম আকাশ, অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল, আসিফ নজরুল, অধ্যাপক তাসনিম সিদ্দিকী, অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, অধ্যাপক আবুল বারাকাত, তারেক শামসুর রেহমান, সাংবাদিক কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ এবং টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান প্রমুখ।
ডব্লিউএন
আরও পড়ুন