ঢাকা, শনিবার   ০৮ নভেম্বর ২০২৫

ইয়াসে ক্ষতিগ্রস্ত ১০ হাজার পরিবারের পাশে রেড ক্রিসেন্ট

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:৫৩, ৩ জুন ২০২১

Ekushey Television Ltd.

সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের উপকূলীয় সাত জেলার প্রায় ১০ হাজার পরিবারের পাশে মানবিক সহায়তা নিয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি। ১৮ উপজেলার ৪৭টি ইউনিয়নে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার, স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী, মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, তারপুলিন ও হাইজিন কিট পৌঁছে দিয়েছে প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবকগণ। 

সোসাইটির নব নিযুক্ত চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল এটিএম আবদুল ওয়াহ্হাবের নেতৃত্বে ও ম্যানেজিং বোর্ড সদস্যগণের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে ক্ষতিগ্রস্ত জেলাসমূহে ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

সোসাইটির পক্ষ থেকে বলা হয়, করোনাকালিন সময়ে এরকম ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় প্রতিটি ক্ষেত্রে একটু বাড়তি সতর্কতা নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবেলায় সোসাইটির ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স টিম, ন্যাশনাল ডিজাস্টার ওয়াটসন রেসপন্স টিম এবং ইউনিট ডিজাস্টার রেসপন্স টিম টিমসহ উপকূলীয় ১৪টি জেলার রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের প্রায় ৭৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবক ও ইউনিট কর্মকর্তাদের পূর্ব প্রস্তুতি ছিল।

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ভোলা, পিরোজপুর, সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, বরগুনা ও পটুয়াখালী এই ৭ জেলায় ইমিনেন্ট ডিআরইএফ’র আওতায় পূর্বাভাসভিত্তিক কার্যক্রম (এফবিএ) অব্যাহত রয়েছে।

এছাড়াও যেসব পরিবার পানিবন্দি রয়েছে তাদের তাৎক্ষণিক খাদ্য চাহিদা মেটাতে শুকনা খাবার, ওরস্যালাইন ও খাবার পানি সরবরাহের পাশাপাশি স্বাস্থ্য সুরক্ষা উপকরণ (সার্জিকাল মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার) প্রদান করা হয়েছে।

সোসাইটির মহাসচিব মো: ফিরোজ সালাহ্ উদ্দিন বলেন, ‘দুর্যোগ মোকাবেলায় সরকারের প্রস্তুতিমূলক উদ্যোগের ফলে বিগত বছরগুলোতে বিভিন্ন দুর্যোগে জীবন ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে যা সারা বিশ্বে একটা দৃষ্টান্ত। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণেই বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম দুর্যোগপ্রবণ দেশ। তার উপর বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে জলবায়ুর ব্যাপক পরিবর্তনের বেড়েছে দুর্যোগের মাত্রা ও তীব্রতা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছ থেকে আমরা যে অভিজ্ঞতা পেয়েছিলাম সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েই আজকে কাজ করে যাচ্ছি। আশা করি যে কোন দুর্যোগ আমরা মোকাবেলা করতে পারব।’

সোসাইটির ডিজাস্টার রেসপন্স বিভাগের পরিচালক ইমাম জাফর শিকদার বলেন, ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় আমাদের ব্যাপক সাফল্য থাকলেও আমরা প্রতিনিয়ত নতুন নতুন হুমকি ও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছি। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় আমাদের দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য হল- প্রাকৃতিক, পরিবেশগত ও মানবসৃষ্ট আপদ হতে মানুষের ক্ষয়ক্ষতি সহনীয় ও গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে নামিয়ে আনা। একইসঙ্গে বড় ধরণের দুর্যোগ মোকাবেলায় সক্ষম একটি জরুরি সাড়া প্রদান ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা।’

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের ক্ষয়ক্ষতি পর্যালোচনা করে দুর্গত এলাকায় ত্রাণ ও সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি। প্রয়োজনে এই কার্যক্রমের পরিধি আরও বৃদ্ধি করা হবে বলে সোসাইটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। (বিজ্ঞপ্তি)

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি