ঈদ আনন্দ নিয়ে ‘আমরা নতুন প্রজন্ম’
প্রকাশিত : ১৭:৫৮, ৩ জুন ২০১৯

বাঁধভাঙ্গা খুশির জোয়ার নিয়ে দরজায় কড়া নাড়ছে পবিত্র ঈদ উল ফিতর। ঈদ উদযাপন বাঙ্গালী ও বাংলাদেশীদের কাছে এক অনন্য উৎসব। বিশেষ করে শিশুদের কাছে ঈদ যেন বিশাল এক খুশির বারতা বয়ে আনে। কোমল হৃদয় আনন্দে মেতে ওঠে। আবদার ও আকাঙ্খা থাকে নতুন কাপড়ের। কিন্তু এর সাধ্য সবার নেই।
বাবা-মা’র সঙ্গে গাড়িতে চড়ে শপিং মলে যায় কোন কোন শিশু অপর দিকে রাস্তার ফুটপাতে মায়ের কোলে বসে আগামী বেলার খাবার অন্বেষণ করে হাজার শিশু। তাদের জন্য নতুন কাপড় আকাশ কুসুম ভাবনা ছাড়া কিছুই নয়।
বাস্তবতা যতই রূক্ষ্ম হোক শিশু মন আনন্দ খুঁজতেই চাইবে। দরিদ্র মা বাবার সন্তান শিশু বা পথ শিশুদের ঈদ আনন্দ চোখের দেখা হলেও গায়ে কখনই যেন উঠে না রঙিন জামা। এখানে রঙিন জামা যেন এব বিরাট স্বপ্ন। বেশীর ভাগ সময়ই নগর জীবনে সর্বত্র ছড়িয়ে থাকা এসব পথ শিশুদের দিকে কেউ ফিরে তাকায় না। অবহেলা আর করুণা নিয়ে ওরা বেঁচে থাকে আমাদেরই চারপাশে।
এমন কিছু শিশুর বুকের ভেতর কষ্টের সাগরে কিছুটা সুখ এনে দিতে প্রতিবারই ঈদে ‘আমরা নতুন প্রজন্ম’ কিছু চেষ্টা করে থাকে। এবারেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। পথশিশুদের নতুন জামা উপহার দিয়েছে সংগঠনটি। সম্প্রতি রাজশাহী নগরীর ছিন্নমূল ও পথ শিশুদের মাঝে খুশির কিছুটা ছটা ছাড়িয়ে দিতে উপহার দেওয়া হয় নতুন জামা। এত অল্পতে খুশিতে হাসির ঝিলিক ছাড়ায় শিশু মুখগুলো। এক সাথে রজাশাহী মহানগীর হড়গ্রাম এলাকার জামিয়াতুল উলুম আমিন মাদ্রাসার শিশুদের জুব্বা উপহার দেয় সংগঠনটি।
‘নগরীর হড়গ্রাম এলাকায় গড়ে তোলা হয়েছে সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের স্কুল ‘পাঠচক্র’। এ প্রতিষ্ঠানে শিশুদের নিয়ে স্কুলে যাওয়ার উপযোগী করে গড়ে তুলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভর্তির করা হয়। গত পাঁচ বছর ধরে পথচারি রোজাদারদের জন্য মাসব্যাপী ইফতার মাহফিল, গবীর দরিদ্র মানুষের মাঝে শাড়ি-লঙ্গি ছাড়াও ঈদের সামগ্রী বিতরণ, অসহায় রোগিদের জন্য চিকিৎসার ব্যবস্থার মত সামাজিক কর্মকান্ড চালানো হয় এ সংগঠনের পক্ষ থেকে।’ বলছিলেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম কনক।
এ সংগঠনের পৃষ্ঠপোষক ও রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল আলম বেন্টু একুশে টেলিভিশন অনলাইনকে বলেন, ‘শিশুদের জন্য বাসযোগ্য করে পৃথিবী গড়ে তোলাটা আমাদের জন্য সবচেয়ে জরুরি কাজ। আমাদের এখনই ভাবা উচিত সামর্থ থাকা স্বত্তেও আমরা কতজন মানুষ ছিন্নমূল বা পথ শিশুদের মুখে হাসি ফুটাতে পেরেছি বা চেষ্টা করেছি। আমার সাকলের এগিয়ে আসা উচিত।
সংগঠনটি শিশুদের মুখে হাসি ফুটাতে চেষ্টা করছে। পরিশ্রম করছেন এর কর্মীরা। প্রতিটি শিশুর মুখের হাসি যেন পৃথিবীকে আলোর মধ্যে ডুবিয়ে দেয়। এ হাসির জন্য শত সহস্য মাইল পারি দিতে হয় না, হিমালয়তুল্য সম্পদেরও দরকার হয় না। শুধু দরকার হয় একটু ভালোবাসা। একটু সহানুভুতি।
এমএস/আরকে
আরও পড়ুন