এক রাতে ফিরলো লুটের ১২ হাজার ঘনফুট সাদা পাথর
প্রকাশিত : ১২:৪১, ১৪ আগস্ট ২০২৫ | আপডেট: ১২:৫০, ১৪ আগস্ট ২০২৫

সিলেটের ভোলাগঞ্জ সীমান্তের শূন্যরেখার কাছে ধলাই নদের উৎসমুখে প্রায় ১৫ একর এলাকাজুড়ে সাদা পাথরের অবস্থান। ছোট-বড় অসংখ্য পাথরের ওপর দিয়ে প্রবাহিত জলের স্রোতোধারার টানে পর্যটক ভিড় জমান এখানে। এই পাথর লুট হয়ে যাওয়ায় পর্যটকেরা হতাশ। তবে আশা কথা হচ্ছে, এক রাতের মধ্যে বিছিয়ে দেওয়া হয়েছের লুটের ১২ হাজার ঘনফুট সাদা পাথর।
বুধবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত টাস্কফোর্স সাদাপাথরের আশপাশের এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযানের সময় কালাইরাগ এলাকা থেকে অবৈধভাবে উত্তোলিত ১২ হাজার ঘনফুট পাথর জব্দ করা হয়।
উদ্ধারকৃত এই সাদাপাথরকে পূর্বের অবস্থানে ফিরিয়ে আনতে সিলেট প্রশাসন বুধবার (১৩ আগস্ট) থেকে কার্যক্রম শুরু করে। গতকাল রাতের মধ্যে ১২ হাজার ঘনফুট পাথর সাদাপাথরে বিছিয়ে দেওয়া হয়।
এই কাজে উপজেলা প্রশাসন ও যৌথবাহিনীর সদস্যরা সক্রিয়ভাবে অংশ নেন।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজিজুন্নাহার বলেন, নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে অভিযান চালায় জেলা প্রশাসন। অভিযানে শান্তিপূর্ণ অবস্থান বজায় রাখতে সেনাবাহিনী সহায়তা করে। সীমান্ত এলাকা হওয়ায় যতটুকু পর্যন্ত সেনাবাহিনী যেতে পারে, তারা ততটুকু পর্যন্ত গেছে। রাতে এসব পাথর সাদাপাথরে বিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
গত বছরের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকেই লাগামহীনভাবে লুটে নেয়া হয় ভোলাগঞ্জের সাদা পাথর। প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় প্রতিদিন শত শত নৌকা দিয়ে এই পাথর লুট করা হয়। সোমবার পর্যন্ত এ লুটপাট চলে।
গত এক সপ্তাহ লুটপাট চালিয়ে এলাকাটির প্রায় ৮০ শতাংশ পাথর তুলে ফেলা হয়। গত ১৫ দিনেই সাদা পাথরে পূর্ণ এলাকা বিরানভূমিতে পরিণত করা হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, এ সময়ে কয়েকশ’ কোটি টাকার পাথর লুট হয়েছে। শুধু পাথর নয়, নদীর তীরের বালু ও মাটিও খুঁড়ে নেওয়া হয়েছে।
বিষয়টি দেশজুড়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। ব্যাপক সমালোচনা মুখে নড়চড়ে বসে প্রশাসন।
এর মধ্যেই সাদা পাথর উদ্ধারে অভিযান চালিয়েছে যৌথবাহিনী। এই অভিযানে রাস্তায় আটকে দেয়া হয়েছে পাথর বোঝাই বেশ কয়েকটি ট্রাক। বুধবার (১৩ আগস্ট) মধ্যরাতে ভোলাগঞ্জ জাফলং, গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জের বিভিন্ন সড়কেও রাতভর অভিযান চালায় তারা।
বিভিন্ন সড়কে একের পর এক পাথরবোঝাই ট্রাক থামিয়ে তল্লাশির পাশাপাশি চালক ও সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং পাথরের উৎস যাচাই করা হয়। আমদানির প্রমাণপত্র যাচাই করে বৈধ পাথরবাহী ট্রাকগুলোকে পরবর্তী গন্তব্যে যেতে দেয়া হয়।
যৌথবাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতিতে ট্রাকে করে আনা এসব পাথরের আমদানির প্রমাণপত্র পরীক্ষা করে দেখেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
এএইচ
আরও পড়ুন