ঢাকা, রবিবার   ১৯ মে ২০২৪

একজোট মোদি-ইমরান

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:১৯, ১৪ মার্চ ২০২০ | আপডেট: ১৯:২১, ১৪ মার্চ ২০২০

ইমরান খান ও নরেন্দ্র মোদি

ইমরান খান ও নরেন্দ্র মোদি

বিশ্বব্যাপী মহামারীতে রূপ নেয়া করোনার থাবা পড়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতেও। সঙ্কট মোকাবেলায় সার্কভুক্ত দেশগুলোর রাষ্ট্রপ্রধানদের ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উপযুক্ত কৌশল নির্ধারণের প্রস্তাব দিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। নরেন্দ্র মোদির সে প্রস্তাবে এবার সাড়া দিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।

জানা গেছে, শুক্রবার (১৩ মার্চ) সার্কভুক্ত দেশগুলোকে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান মোদি। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য দেশগুলোর রাষ্ট্রপ্রধানদের একটি ভিডিও কনফারেন্স করার প্রস্তাব দেন তিনি। মোদির সে প্রস্তাবে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশের সঙ্গে সাড়া দিয়েছে পাকিস্তানও।

এ প্রসঙ্গে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আয়েশা ফারুকী এক টুইট বার্তা দেন। সেখানে বলা হয়, ভাইরাসটির মোকাবেলায় আঞ্চলিক ও বৈশ্বিকভাবে সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। যদি তা করা সম্ভব না হয় তাহলে এ মহামারি মোকাবেলা অসম্ভব হয়ে পড়বে। সার্কভুক্ত দেশগুলোর প্রস্তাবিত ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেবে পাকিস্তান। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিশেষ স্বাস্থ্য সহকারীকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, ইতোমধ্যে মোদির ওই প্রস্তাবে সর্বপ্রথম সাড়া দেয় ভুটান ও শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও সে প্রস্তাবে রাজি হয়েছেন। এছাড়া মোদির এ সিদ্ধান্তে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন নেপাল ও মালদ্বীপ সরকার।

মোদির প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে এক টুইটে বলেন, সময় উপযোগী সিদ্ধান্তের জন্য ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে সাধুবাদ জানাই। তাকে ধন্যবাদ না জানালেই নয়। আমরা আলোচনার জন্য প্রস্তুত। 

এদিকে, চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের বরাত দিয়ে আজ শনিবার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম দ্য চায়না মর্নিং পোস্ট জানিয়েছে, ‘বিশ্বের অন্তত ১১৫টি দেশে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতি এ ভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে নতুন করে ৪২৫ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৫ হাজার ৩৭৩ জনের। বর্তমানে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১ লাখ প্রায় ৪১ হাজার মানুষ। 

ভাইরাসটিতে মূলভূখন্ড চীনে অপরিবর্তীত রয়েছে মৃতের সংখ্যা। সেখানে শুক্রবার পর্যন্ত মারা গেছেন ৩ হাজার ১৭৬ জন। আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ হাজার ৮১৩। 

অপরদিকে, চীনের বাহিরে মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্য। এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা ইতালিতে।  গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে নতুন করে আরও ২৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগের দিন ১৮৯ জনের মৃত্যু হয়। এরও আগের দিন ১৯৬ জনের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ২৬৬ জনের প্রাণহানি ঘটল। যা উৎপত্তিস্থল চীনের বাহিরে সর্বোচ্চ। 

এনএস/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি