ঢাকা, শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪

এন্ড্রু কিশোরের জন্মদিনে কনক চাঁপার আবেগঘন স্ট্যাটাস

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:১৮, ৫ নভেম্বর ২০১৭

চলচ্চিত্রের গানে স্মরণীয় জুটি এন্ড্রু কিশোর-কনকচাঁপা। ১৯৮৬ থেকে শুরু করে এখনও এক সঙ্গে গেয়ে যাচ্ছেন দুজন। তিন দশকের যুগল ক্যারিয়ারে রয়েছে অসংখ্য স্মৃতি। জনপ্রিয় সংগীত তারকা এন্ড্রু কিশোরের জন্মদিন ছিলো ৪ নভেম্বর। সহশিল্পীর জন্মদিনে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে স্মৃতিচারণ করেছেন কণ্ঠশিল্পী কনক চাঁপা।

কনক চাঁপার স্ট্যাটাস্টি তুলে ধরা হলো :

‘‘এন্ড্রু কিশোর! একটি বিস্ময়কর দমের নাম, যে দম থেকে সুর বেরিয়ে ছড়িয়ে পড়ে আকাশে বাতাসে নদীতে সাগরে এবং যেখানে যেখানে ছড়ায় তাদের সবাইকেই জড়ায় সুরের আরামদায়ক উষ্ণতায়।

তার কণ্ঠে কি আছে আমি কি করে বলি! গান শুনে খালি মনে হয় কোন দিক থেকে তরল সোনা গলে গলে পড়ছে। তাতে প্রেম অভিমান কান্না কটাক্ষ চিৎকার রাগ সব অলঙ্গকারের কাজ করছে। রেকর্ডিং এর মেশিনের কাটা জানে এন্ড্রু কিশোরের ভার ধার কি। ভয়ঙ্কর! যেন আস্ত নায়াগ্রা জলপ্রপাত একই সঙ্গে ভয়ঙ্কর সুন্দর!

কিশোর দার সঙ্গে পয়লা দেখা প্লে-ব্যাকেই। এছাড়া আর তাকে দেখার উপায়ই কি! সুরকার মইনুল ইসলাম খানের সুর সঙ্গীতায়োজনে নাফরমান ছবির মহরত এর গান শ্রুতি স্টুডিওতে ছিয়াশি সালের জানুয়ারিতে। আমি নিতান্তই ছোট মানুষ। ভয় পাচ্ছিলাম, এত বড় শিল্পী! গাইতে গিয়ে দেখি ইয়াল্লা, উনি যেন আমার বড় ভাই, পয়লা হাসিতেই বাজিমাত।

এরপর তার সাথে কত গান গাইলাম, কত মঞ্চ কাঁপলো (আমার গানে মঞ্চ কাঁপেনা কিন্তু কিশোর দার গানে আমি, আমরা, মঞ্চ নিয়মিত কাঁপে) কত বিদেশে গেলাম! আপন বড়ভাইয়ের মতো হয়েও তিনি এখনো আমার কাছে বিস্ময়। আপাতদৃষ্টিতে রাগী রাগী মানুষটা আসলে খুবই ফুর্তিবাজ। সবার বিপদে আপদে সময়মত দাঁড়িয়ে যান সবার আগে। পারিনা বলে কোন কথা তাঁর অভিধানে নেই।

তার সঙ্গে হাজার হাজার গান গেয়েছ। তিনি আমাকে চেনেন ভাবনাতেই আমি আপ্লুত হই এখনো, কিশোর দা হয়তো তা জানেনই না। আমি ধন্য তিনি আমাকে অত্যাধিক স্নেহ করেন। জীবনে কতই না পেলাম! আজ বিস্ময়কর কণ্ঠরাজের জন্মদিন। শুভকামনা সম্পদের জন্য। দীর্ঘদিন সুস্থ হয়ে আমাদের মধ্যে বেঁচে থাকুন বাংলাদেশের সুরের রাজা!’’

উল্লেখ্য, ১৯৫৫ সালের ৪ নভেম্বর জন্ম গ্রহণ করেন আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত সংগীতশিল্পী এন্ড্রু কিশোর। ‘হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস’, ‘সবাই তো ভালোবাসা চায়’সহ অসংখ্য কালজয়ী গান উপহার দিয়েছেন তিনি।

সিনেমার গানে এন্ড্রু কিশোরের যাত্রা শুরু হয় ১৯৭৭ সালে। আলম খানের সুরে ‘মেইল ট্রেন’ সিনেমার সেই গানটি ছিল ‘অচিনপুরের রাজকুমারী নেই যে তাঁর কেউ’। বাদল রহমান পরিচালিত ‘এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী’ সিনেমার ‘ধুম ধাড়াক্কা’ গানে কণ্ঠ দেন তিনি। তবে ১৯৭৯ সালে মুক্তি পাওয়া ‘প্রতিজ্ঞা’ সিনেমার ‘এক চোর যায় চলে’ গানটির জন্য তিনি জনপ্রিয়তা পান। কনকচাঁপাও এই শিল্পীর সঙ্গে অসংখ্য গানে কণ্ঠ দিয়েছেন।

 

এসএ/ এআর


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি