ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪

ঐক্যফ্রন্ট ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে ষড়যন্ত্র করছে: আইনমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২২:১৯, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ষড়যন্ত্র কিন্তু শেষ হয়নি। এই যে ঘুমানো চক্র (জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট) দেখছেন, তারা কিন্তু একটি জিনিসই পারে। তা হলো ষড়যন্ত্র। তারা ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। শনিবার সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির শফিউর রহমান মিলনায়তনে বাংলাদেশ আইনজীবী সহকারী সমিতি আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ষড়যন্ত্র করে স্বপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছিল, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেও তারা একইভাবে ষড়যন্ত্র করছে। সবাইকে এ বিষয়ে আরও সতর্ক থাকতে হবে।

আনিসুল হক বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের নেপথ্যে কারা ছিলেন তাদের চিহ্নিত করার জন্য একটি কমিশন দরকার। আজকে তাদের চেহারা ধীরে ধীরে উম্মোচিত হচ্ছে। আমরা সেই কমিশনও জনগণকে উপহার দেব, যাতে ইতিহাস ঠিকভাবে লিখিত হয়। বিকৃত ইতিহাস যেন আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজম্মকে আর পড়তে না হয়।

আনিসুল হক বলেন, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া ভোটারবিহীন একটি নির্বাচন করেছিলেন। ভোটারবিহীন নির্বাচন হয়েছিল বলেই এক মাসের আন্দোলনের মাথায় দেড় মাসের মধ্যে খালেদা জিয়াকে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হয়েছিল। উনারা (বিএনপি) বলেছিলেন ২০১৪ সালে নির্বাচন হয়নি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে পাঁচ বছর এই দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে সরকারের দায়িত্ব পালন করেছেন। সেই পাঁচ বছর জনগণ উপকৃত হয়েছে। তাই আন্দোলন হয়নি।

তিনি বলেন, ২০১৪ সালে খালেদা জিয়া আন্দোলনের চেষ্টা করে অগ্নিসন্ত্রাস করেছে। জনগণ কিন্তু তাদের আন্দোলনে সায় দেয়নি। আবার তারা ২০১৮ সালে নির্বাচন করেছেন। নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের গণশুনানি প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, জাতীয় নির্বাচনে পরাজিত হয়ে তারা এখন সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির হলে শুনানি করছেন। এখানে তারা বলছেন, গত ৩০ ডিসেম্বর নাকি নির্বাচন হয়নি। তাদের ওই অনুষ্ঠানে একজনও জনগণ নেই। তারা সেখানে বসে বসে ঘুমিয়েছেন।

তিনি বলেন, `জনগণ শেখ হাসিনার সঙ্গে রয়েছেন, উনাদের সাথে নেই। উনাদের সঙ্গে জনগণ নেই বলেই তাদের সুপ্রিমকোর্ট বারের অডিটরিয়ামে বসে শুনানি করতে হয়। শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে গণশুনানি করেছিলেন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। আর এখানেই হলো শেখ হাসিনার সঙ্গে তাদের পার্থক্য।`

এসময় আরও বক্তব্য দেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, ঢাকা কোর্ট আইনজীবী সহকারী সমিতির সভাপতি মো. আবদুল হান্নান প্রমুখ।

এসএইচ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি