ঢাকা, রবিবার   ১৯ মে ২০২৪

করোনায় বেড়েছে সঞ্চয়পত্র বিক্রি (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:৫৬, ১৯ ডিসেম্বর ২০২০

সরকারি নিরুৎসাহিতকরণ নীতির সাথে করোনা সংক্রমণের বিরূপ প্রভাব। তারপরও কমেনি সঞ্চয়পত্র বিক্রি। বরং প্রথম পাঁচ মাসেই পুরো অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি পৌঁছে যায় বিক্রির পরিমাণ। এই প্রবণতায় বাড়ছে সরকারের সুদের বোঝা। বিনিয়োগের ভাল বিকল্প পেলে সঞ্চয়পত্র বিক্রি কমতে পারে বলে আশা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের।

বাজেট ঘাটতি মেটাতে বিদেশী উৎস ও দেশের ব্যাংক ব্যবস্থার পাশপাশি সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমেও ঋণ নিয়ে থাকে সরকার। সুদের হার বেশি হওয়ায় সঞ্চয়পত্র বিক্রিকে নিরুৎসাহিত করতে গত বছরের পহেলা জুলাই থেকে মুনাফার উপর করহার ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হয়। পাশাপাশি বাধ্যতামূলক করা হয় জাতীয় পরিচয় পত্র ও টিআইএন সার্টিফিকেট। 
 
করোনা সংকটের শুরুতে মানুষের সঞ্চয় কমার আশঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন অর্থনীতিবিদরা। তবে সঞ্চয়পত্র বিক্রিতে তার প্রতিফলন দেখা যায়নি। সাধারণ মানুষ বলছেন, ব্যাংকে সুদের হার কম, অন্য যেকোন খাতে বিনিয়োগে ঝুঁকি বেশি। তাই সঞ্চয়পত্রেই আস্থা তাদের। 

সাধারণ মানুষরা জানান, বয়স্ক লোকের জন্য এটাই ভাল। আর এটা সরাসরি ব্যাংকে যাচ্ছে, হয়রানি কম। টাকা নিরাপদ এবং আমি নিজের নিরাপদ। এই টাকাটা দিয়ে আমার সংসারটা চালাতে পারি। এই জন্য আমি সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করেছি।

অন্য আরেকজন জানান, এটার লভ্যাংশ অনেক বেশি। অন্যান্য ব্যাংকে যদি আমরা ৫শ’ কিংবা সাড়ে ৫শ’ টাকার মতো পাই এখানে ৯শ’ ১২ টাকা পাই।

মহামারীর মধ্যে সঞ্চয়পত্র বিক্রির এমন প্রবণতা অস্বাভবিক হলেও, কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে এ সময়ে রেমিটেন্স প্রবাহ রেকর্ড ভেঙ্গেছে, যার একটা বড় অংশ গেছে সঞ্চয়পত্রে। পাশাপাশি ব্যাংক আমানতে সুদের সর্বোচ্চ হার ৬ শতাংশে বেঁধে দেয়ার প্রভাবতো আছেই। 

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, সঞ্চয়পত্র যে রেটটা দিচ্ছে তা অত্যন্ত ভালো। বাংলাদেশ ব্যাংক এখন অন্যান্য ব্যাংকের ক্ষেত্রে ৬ শতাংশ এবং ৯ শতাংশ নির্ধারণ করে দিয়েছে। ব্যাংকগুলো এফডিআরে ৬ শতাংশের বেশি দিতে পারবে না।

পুঁজিবাজারের সাম্প্রতিক ঊর্ধ্বমুখি প্রবণতা টেকসই হলে এবং বন্ড মার্কেট শক্তিশালী হলে সঞ্চয়পত্র বিক্রি কমতে পারে বলেও মত এই কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্মকর্তার।

সিরাজুল ইসলাম বলেন, অন্যান্য বন্ড মার্কেটে চলে আসবে এবং ক্যাপিটাল মার্কেট যখন আস্তে আস্তে ভাল হয়ে যাবে তখন সঞ্চয়পত্রের লোডটাও ধীরে ধীরে কমে আসবে।

অক্টোবর শেষে সরকারের কাছে সঞ্চয়পত্রের মোট স্থিতি দাঁড়ায় ৩ লাখ ১৭ হাজার ৮২৮ কোটি টাকা। 
ভিডিও :

এএইচ/এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি