কষ্ট পেরিয়ে সফল হওয়া আত্মবিশ্বাসেরই ফসল : জয়
প্রকাশিত : ১৮:৩১, ২৮ জুলাই ২০১৭ | আপডেট: ২০:৩২, ২৮ জুলাই ২০১৭

বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ বলেছেন, কষ্টের সময়গুলো পার করে সফল হয়ে ওঠা তার আত্মবিশ্বাসের ফসল। বৃহস্পতিবার ২৭ জুলাই তার জন্মদিনের ঠিক আগের দিন সিআরআই আয়োজিত `লেটস টক উইথ সজীব ওয়াজেদ` অনুষ্ঠানে তিনি তার সাফল্যের পেছনে সংগ্রামী জীবনের কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘নানার হত্যাকাণ্ডের পর পারিবারিকভাবে আমাদের অনেক দুঃসময় গেছে। ১৯৭৫ পরবর্তী সময়ে আমাদের পরিবারকে বিদেশে থেকে যেতে হয়। এ সময় শুধুমাত্র একটি ব্রিফকেস ভর্তি কাপড় এবং ২০০-৩০০ ডলার ছাড়া আমাদের কাছে আর কিছুই ছিল না। এমন অবস্থায় এক দেশ থেকে অন্যদেশে ছুটে বেড়াতে হয়েছে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবারকে।’
পারিবারিকভাবে এমন প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে থেকেও শেষ পর্যন্ত হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মত আন্তর্জাতিক খ্যাতনামা একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোক প্রশাসন বিষয়ে স্নাতকোত্তর শেষ করেন তিনি। ১৯৭৫ সালের পরবর্তী সময়ে সজীব ওয়াজেদ জয় তার বাবা ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া এবং মা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিদেশে থেকে যেতে বাধ্য হন। এ সময় তার বোন সায়মা ওয়াজেদ পুতুলও ছিলেন তাদের সঙ্গে। পরে তারা জার্মানী থেকে লন্ডন হয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। সেখানেই নিজের কিশোর বয়স পার করেন জয়। পরবর্তীতে স্নাতক পর্ব শেষ করেন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় `দ্য ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট আর্লিংটন থেকে। তার বিষয় ছিল কম্পিউটার বিজ্ঞান।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে লোক প্রশাসন বিভাগে স্নাতকোত্তর পর্ব শেষ করার পর তিনি বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা। এরই মধ্যে বিশ্বের বুকে তিনি বাংলাদেশকে আরো পরিচিত করে তুলেছেন বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পুরস্কারের মাধ্যমে।
২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে সজীব ওয়াজেদ জয় প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে অর্জন করেন `ইয়াং গ্লোবাল লিডার` অ্যাওয়ার্ড। আইসিটি খাতে বিশেষ দক্ষতার জন্য ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরাম তাকে এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করে। প্রতি বছর বিশ্বে ২৫০ জন তরুণ নেতৃত্বকে এই অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়। যা বিশ্বব্যাপী সমাদৃত।
এ ছাড়াও ২০১৬ সালে তিনি অর্জন করেন `আইসিটি ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যাওয়ার্ড`। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে দেশে আইসিটিখাতের উন্নয়ন এবং টেকসই উন্নয়নের লক্ষে আইসিটি খাতের সর্বোচ্চ ব্যবহারের স্বীকৃতি স্বরূপ ত্রিদেশীয় সংস্থা `প্লান ট্রিফিনি` আন্তর্জাতিক এনজিও `গ্লোবাল ফ্যাশন ফর ডেভেলপমেন্ট` এবং নিউ হাভানা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্কুলের সঙ্গে একত্রে এই অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন জয়। জাতিসংঘ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যের ১ বছর পূর্তিতে এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করে ওয়ার্ল্ড অর্গানাইজেশন অব গভর্নেন্স অ্যান্ড কম্পিটিটিভনেস। সূত্র : বাসস।
আরও পড়ুন