কাঁদা-বালু মাটি দিয়ে চলছে পূর্বাচলের রাস্তা-ড্রেনেজ নির্মাণ
প্রকাশিত : ১২:৫১, ৩ জুন ২০১৭ | আপডেট: ১৫:৩৭, ৩ জুন ২০১৭

কম সিমেন্ট, কাঁদা আর বালু মাটি দিয়ে চলছে রাজউকের পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের বিভিন্ন রাস্তা আর ড্রেনেজ নির্মাণ। এছাড়া, আদিবাসিন্দাদের প্লট দেয়ার নামে হয়রানি ও জালিয়াতির ঘটনাও রয়েছে অসংখ্য। পূর্বাচল প্রকল্পের পরিচালক বিভিন্ন অসংগতির কথা স্বীকার করলেও রাজউক চেয়ারম্যান বলছেন, তাদের কাজের মান ভালো।
স্বল্প ও মধ্যম আয়ের মানুষের জন্য ঢাকা ও আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় চলমান রয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রাজউকের প্লট এবং ফ্ল্যাটের কয়েকটি প্রকল্প। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প। ২০০৫ সালে শুরু হয় এর কার্যক্রম।
প্রচলিত পদ্ধতিতে গ্রহকগণ যে সব ক্ষেত্রে হয়রানির শিকার হন
- যথাসময়ে বরাদ্দপত্র ইস্যু না করা
- এক শ্রেনীর দালাল চক্রের কারণে বরাদ্দপত্রে স্বচ্ছতার অভাব
- প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের প্লট বরাদ্দে অনিহা ও দীর্ঘসূত্রিতা
- ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবর্তে তাদের প্লট অন্যের কাছে বিক্রি
- কোটা পদ্ধতি অনুসরণ না করে পছন্দের ব্যক্তিদের বরাদ্দ দেয়া
ধাপে ধাপে এই প্রকল্পের বাজেট বাড়লেও এখনো বাকী অনেক কাজ। তৈরি হয়নি রাস্তা বা কোন ধরণের সীমানা। যে কারণে ভোগ দখলে যেতে পারছেন না প্লট মালিকরা।
এছাড়া, একুশে টেলিভিশনের ক্যামেরায় ধরা পড়েছে বিভিন্ন অনিয়মও। পূর্বাচলের ১০ নম্বর সেক্টরে কয়েকটি ড্রেনেজ নির্মানের সময় দেখা যায়, কাঁদা মাটি আর নিন্মমানের বালু দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে ড্রেনের ওয়াল। নির্মাণ শ্রমিকরা স্বীকার করলেন, কম সিমেন্ট আর নিন্মমানের ইট দিয়ে ওয়াল তৈরির কথা।
প্রকল্পের সুপারভাইজার জানান, ঠিকাদাররা ইচ্ছামত কাজ করে। তাতে বাধা দিলে তাদেরকে হুমকি দেয়া হয়।
দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারি প্রকৌশলীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে, তিনিও জানান ইট, বালু, সিমেন্ট কিছুই ঠিক নেই।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নাইন স্টারের ম্যানেজারও স্বীকার করেন নিন্মমানের সামগ্রী ব্যবহারের কথা।
এরপর একুশের টিম চলে আসার সময়ে গাড়িতে ওঠেন নাইন স্টারের ম্যানেজার আব্দুল লতিফ। অনুরোধ করেন নিউজ না করার জন্য। এ’ জন্য টাকার প্রলোভনও দেখানো হয়।
দুর্নীতি ও অনিয়মের বিষয়ে জানতে পূর্বাচল প্রকল্পের পরিচালক আব্দুল আউয়ালের কাছে গেলে তিনি ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি। তবে, তিনি স্বীকার করেন কাজে বিভিন্ন অসংগতির কথা।
আর কাজের মানের সাফাই গেয়েছেন রাজউক চেয়ারম্যান।
পরিকল্পিত নগরায়নের মাধ্যমে বাসযোগ্য হবে রাজধানী- এটাই প্রত্যাশা নগরবাসীর।
আরও পড়ুন