ঢাকা, শুক্রবার   ১৭ মে ২০২৪

কাজে ফিরছে স্পেন, মৃতের হারে শীর্ষে বেলজিয়াম

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৩৬, ৪ মে ২০২০

পুরোপুরি না হলেও মহামারির প্রকৃত রূপ থেকে অনেকটা উত্তোরণ হয়েছে ইউরোপীয় কয়েকটি দেশের। এর মধ্যে ইতালি ও স্পেন অন্যতম। 

ইতিমধ্যে ৮ সপ্তাহ ধরে চলা জরুরি অবস্থা আংশিক শিথিল করেছে ইতালি। যদিও উৎকণ্ঠার সঙ্গে রয়েছে উদ্বেগ। কেননা, পুরোপুরি যেহেতু দূর হয়নি, তাই যেকোনো সময় পূর্বের ন্যায় রূপ নিতে পারে করোনা। তাই, সে প্রস্তুতি হাতে রেখেই শিথিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার। 

এবার সে পথে হাটতে যাচ্ছে স্পেন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে আবারও সর্বনিম্ন মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। প্রতিদিনই কমছে আক্রান্তের সংখ্যা। তারপরও এখন পর্যন্ত আক্রান্তের দিক থেকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দেশে এটি। 

এমন অবস্থায় ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্পেন সরকার। আগামীকাল সোমবার থেকেই বেশ কিছু ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান চালু করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য কর্মক্ষেত্রগুলোও খুলে দেয়া হবে। 

পাশাপাশি আরও সহজলভ্য করা হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা। বিভিন্ন হাসপাতালে রোগীদের জন্য সুযোগ-সুবিধার পাশাপাশি বাড়ানো হবে বেডের সংখ্যা। তবে, গণপরিবহনে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে মাস্ক ব্যবহার। 

সরকারি নির্দেশনা বলা হয়, হোটেল-রেস্টুরেন্টে যে পরিমাণ ধারণ-ক্ষমতা রয়েছে তার অর্ধেক লোকজন থাকতে পারবে। অর্থাৎ আগে কোনো রেস্টুরেন্ট বা হোটেলে যেভাবে জনসমাগম হতো এখন তা হবে না। লোকসংখ্যা কমিয়ে আনতে হবে।

এছাড়া সব হোটেল-রেস্টুরেন্ট পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, টেবিল-চেয়ার এবং অন্যান্য জিনিসপত্র জীবাণুমুক্ত রাখতে হবে। সেখানে আসা লোকজনের মধ্যে দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে।

এদিকে, সোয়া ১ কোটি মানুষের দেশ বেলজিয়ামে এখন পর্যন্ত করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৭ হাজার ৮৪৪ জন। আক্রান্ত প্রায় অর্ধলক্ষ মানুষ। করোনায় মৃত্যুহারের হিসাব করলে দেশটির অবস্থান সবার উপরে। প্রতি ১ লাখ মানুষের মধ্যে ৬৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। যা বিশ্বে মৃত্যুহারে সর্বোচ্চ বলে মনে করা হচ্ছে। 

প্রধানমন্ত্রী সোফি উইলমস বলেছেন, ‘কোভিড-১৯ রোগে মৃত্যু ও আক্রান্ত নিয়ে সরকার সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার সঙ্গে তথ্য সরবরাহ করবে।’ অনেকে বলছেন, করোনা নিয়ে তথ্য গোপন না করার কারণে দেশটিতে মৃত্যু বেশি।

বেলজিয়ামের সরকারি কর্মকর্তা বলছেন, তারা যেভাবে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর হিসাব করছে বিশ্বের কোনো দেশই এভাবে তা করছে না। দেশটি শুধু হাসপাতাল ও কেয়ার হোমের পাশাপাশি যারা উপসর্গ নিয়ে মারা যাচ্ছে তাদেরও তালিকাভুক্ত করছে। 

বেলজিয়ামের সরকরি তথ্যমতে, করোনায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ৫৩ শতাংশই কেয়ার হোমের। যাদের মধ্যে মাত্র ১৬ শতাংশ করোনা আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছে। এর অর্থ হলো বাকি সাড়ে ৩ হাজারের বেশি রোগী সন্দেহভাজন করোনা রোগী।

আশঙ্কাজনকহারে করোনা রোগী বাড়তে থাকায় গত ১৮ মার্চ থেকে লকডাউনের ঘোষণা দেয় সরকার। অপ্রয়োজনীয় সব ব্যবসা বন্ধের পাশাপাশি নিশ্চিত করা হয়েছে শারীরিক দূরত্ব ও ঘরে থাকার নির্দেশনা। প্রত্যেক পরিবার থেকে সর্বোচ্চ একজন বাজারে যাওয়ার অনুমতি রয়েছে। তারপরও ইউরোপের এই দেশটিতে থেমে করোনার ছোবল। 

এআই/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি