ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪

কানাডার সম্মানসূচক নাগরিকত্ব হারাচ্ছেন সু চি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৪৩, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | আপডেট: ০৮:৪৬, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮

কানাডার পার্লামেন্টে মিয়ানমারের ডি ফ্যাক্টো নেতা অং সান সু চির সম্মানসূচক নাগরিকত্ব বাতিলের প্রস্তাব সর্বসম্মতভাবে পাশ হয়েছে। মিয়ানমারে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ ঠেকাতে ব্যর্থ হওয়ার প্রতিক্রিয়াতেই এই সিদ্ধান্ত নিল কানাডার পার্লামেন্ট।

মিয়ানমারে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে সু চির ভূমিকার স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৯১ সালে তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কার জিতেছিলেন।

গত মাসে প্রকাশিত এক জাতিসংঘ প্রতিবেদনে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দেশটির সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের অভিযুক্ত করা হয়েছে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দেশটির শীর্ষ ছয়জন সামরিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত এবং বিচার হওয়া দরকার। নির্যাতনের শিকার হয়ে গত এক বছরে দেশ ছেড়ে অন্তত সাত লাখ মানুষ বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।

সুচিকে কানাডাতে যে সম্মানসূচক নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে, সেটি বাতিলে পার্লামেন্ট প্রস্তাব ওঠার আগের দিন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো জানান, সু চিকে নাগরিকত্বের সম্মান জানানোর প্রয়োজন আর আছে কি-না, তা পুনর্বিবেচনা করা হচ্ছে।

তবে নাগরিকত্ব বাতিলের পরবর্তী পদক্ষেপসমূহ কি হবে সে নিয়ে তাৎক্ষনিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। যদিও, এ পদক্ষেপের কারণে লাখ লাখ রোহিঙ্গা মানুষের দুর্দশা লাঘব হবে না বলে ট্রুডো উল্লেখ করেছেন।

কানাডাতে এ পর্যন্ত মাত্র ছয়জন মানুষকে সম্মানসূচক নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। ফলে এটি অত্যন্ত বিরল এক সম্মান ছিল সু চির জন্য।

প্রসঙ্গত, এর আগে অক্সফোর্ডসহ ব্রিটেনের কয়েকটি শহর তাকে দেওয়া সম্মান প্রত্যাহার করে নিয়েছে।

সূত্র: বিবিসি

একে//


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি