ঢাকা, রবিবার   ০৪ মে ২০২৫

খিচুড়ির বিশ্বরেকর্ডকে চ্যালেঞ্জ করল আজমির শরিফ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:৫৪, ৮ নভেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ১৯:৫৫, ৮ নভেম্বর ২০১৭

Ekushey Television Ltd.

ভারতের সেলেব্রিটি শেফ সঞ্জীব কাপুরের নেতৃত্বে গত শনিবার ৫০ জনের একটি দল এক সঙ্গে ৯১৮ কেজির খিচুড়ি রান্না করে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম তোলার দাবি জানিয়েছেন। আর তাদের এ দাবিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে আজমির শরিফ দরগা।

চিশতী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও আজমির শরিফের প্রধান সৈয়দ সালমান চিশতী জানান, তাদের দরগাতে গত সাড়ে চারশো বছর ধরে প্রতিদিন দুটো ডেকচিতে মোট ২৪০০ কেজি `নিরামিষ মিষ্টি পোলাও` রান্না করা হচ্ছে। আর একদিন ৯১৮ কেজি খিচুড়ি রান্নার কোনো তুলনাই হতে পারে না। এক্ষেত্রে কেউ বিশ্বরেকর্ডের দাবিদার হলে সেটা আজমির শরিফই হবে।

তিনি বলেন, আমরা হলাম সুফি মতাবলম্বী। প্রচারের আলোয় আমরা থাকতে চাই না। তবে এটা ঠিক যে, শত শত বছর ধরে এই দরগায় প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ রান্নাবান্না হচ্ছে তারও একটা স্বীকৃতি দরকার। তবে গিনেস কর্তৃপক্ষের কাছে এখনই রেকর্ডের জন্য আবেদন করার কোনো পরিকল্পনা আজমির শরিফের নেই।

এর আগে গত সপ্তাহে দিল্লিতে ভারত সরকারের উদ্যোগে যে `ওয়ার্ল্ড ফুড ইন্ডিয়া ২০১৭` আয়োজিত হয়েছিল, সেখানেই ৯১৮ কেজি খিচুড়ি রান্না করে বিশ্বরেকর্ড গড়ার দাবি তোলেন তারকা শেফ সঞ্জীব কাপুর। তিনি ছাড়াও ওই রান্নায় হাত লাগিয়েছিলেন ভারতের দু`জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

`যোগ-গুরু` বাবা রামদেব নিজে ওই খিচুড়িতে ‘তড়কা’ যোগ করেন। পরে সেই খিচুড়ি বিলি করা হয় দিল্লির বিভিন্ন এতিমখানায়। এই রন্ধন-যজ্ঞের মাধ্যমে খিচুড়িকে `ব্র্যান্ড ইন্ডিয়া সুপারফুড` হিসেবেও প্রোমোট করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়।

তবে বিপুল পরিমাণ ওই খিচুড়ি রান্নার এটাই বিশ্বরেকর্ড কি না, গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস তাৎক্ষণিকভাবে তার কোনো স্বীকৃতি এখনও দেয়নি।

কিন্তু এরই মধ্যে আজমির শরিফ দরগার প্রধান রবিবার টুইট করে জানান, ‘আমাদের দরগায় প্রতিদিন ছোট ডেকচিতে ৮০০ কেজি আর বড় ডেকচিতে ১৬০০ কেজি ভেজ সুইট রাইস (খিচুড়ি) রান্না করা হচ্ছে গত সাড়ে চারশো বছর ধরে।’

একই সঙ্গে সৈয়দ সালমান চিশতী দরগার ছোট ও বড় ডেকচিতে সেই পোলাও বা খিচুড়ি রান্নার বেশ কিছু ছবিও পোস্ট করেন।

আর/ডব্লিউএন


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি