ঘুমের ওষুধ খাইয়ে স্বামীকে হত্যার চেষ্টা, আগেই খোঁড়া হয় কবর!
প্রকাশিত : ০৯:১৫, ৫ অক্টোবর ২০২৫

ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলায় এক ব্যক্তিকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে গলা কেটে হত্যার চেষ্টার এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। শুধু তাই নয়, হত্যার পর লাশ গুম করার জন্য আগেই ঘরের বারান্দায় কবরও খুঁড়ে রাখা হয়েছিল। ভাগ্যক্রমে ওই ব্যক্তির দাড়ি থাকায় গলা পুরোপুরি না কাটায় তিনি বেঁচে যান।
শুক্রবার দিবাগত রাতে সদরপুর উপজেলার ভাষাণচর ইউনিয়নের মুন্সি গ্রামে এই পৈশাচিক ঘটনা ঘটে।
এই হত্যাচেষ্টার পেছনে ওই ব্যক্তির স্ত্রী, শাশুড়ি ও দাদি শাশুড়ির বিরুদ্ধে ১১ লাখ টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্য থাকার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী ঠান্ডু বেপারী (৩৫), যিনি ঢাকায় একটি ওয়ার্কশপ ব্যবসা পরিচালনা করেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ঘটনার রাতে ঠান্ডু বেপারীকে খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ানো হয়। গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হওয়ার পর রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে তার স্ত্রী লাবনী আক্তার (২৮), শাশুড়ি শাহিদা বেগম এবং দাদি শাশুড়ি জানকী বেগম মিলে তাকে কাস্তে দিয়ে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করেন।
কিন্তু মুখে দাড়ি থাকায় ঠান্ডুর গলা পুরোপুরি কাটা যায়নি, ফলে চিৎকার শুরু করেন তিনি। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করেন। দ্রুত তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় এবং সদরপুর থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
ঘটনার খবর পেয়ে সদরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুকদেব রায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি জানান, ‘এটি একটি পূর্বপরিকল্পিত হত্যাচেষ্টা। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যেই এমন ঘটনা ঘটানো হয়েছে।’
তবে এখনো পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এএইচ
আরও পড়ুন