ঢাকা, শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪

চলনবিল রক্ষার মতবিনিময় সভায় নেদারল্যান্ড রাষ্ট্রদূত

নাটোর প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৫:৪২, ২৯ মে ২০২২ | আপডেট: ১৫:৪৪, ২৯ মে ২০২২

নাটোরের সিংড়ায় চলনবিলের সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে মতবিনিময় সভা করেছেন নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত। 

রোববার চলনবিল অধ্যুষিত সাতপুকুরিয়া মাদ্রাসা মাঠে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মতবিনিময় সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

অর্থনীতি বিভাগের সচিব কাওছার আহমেদের নেতৃত্বে মতবিনিময় সভায় নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন ৯ কর্মকর্তা। 

উপজেলা পরিষদ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বন্যা, নদী ভাঙন, নদী ব্যবস্থাপনা, নগর ও গ্রামে পানি সরবরাহ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নিষ্কাশন ব্যবস্থাপনার দীর্ঘমেয়াদী কৌশল হিসেবে আলোচিত ‘ডেল্টা প্লান-২১০০’এর অন্তর্ভুক্ত একটি প্রকল্প চলনবিল উন্নয়ন প্রকল্প। এই প্রকল্পে অর্থ বিনিয়োগ করছে নেদারল্যান্ডস সরকার। 

এরই মধ্যে উভয় সরকারের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর সম্পন্ন হয়েছে। এতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে তিন হাজার ৭০০ কোটি ডলার। বাংলাদেশি টাকায় ৩ হাজার ১৪৫ বিলিয়ন টাকারও বেশি। 

ধাপে ধাপে বাস্তবায়নযোগ্য এই মহাপরিকল্পনার প্রথম ধাপে অর্থাৎ ২০৩০ সাল নাগাদ বাস্তবায়নের জন্য গ্রহণ করা হয়েছে ৮০টি প্রকল্প। এর মধ্যে ৬৫টি ভৌত অবকাঠামো প্রকল্প এবং ১৫টি প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা, দক্ষতা ও গবেষণা বিষয়ক প্রকল্প রয়েছে। 

প্রকল্প বাস্তবায়নের আগে চলনবিলকে যথাসম্ভব আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেয়া, জীববৈচিত্র্য রক্ষা, কৃষি ও মৎস্য বিভাগের উন্নয়ন, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, পর্যটন এলাকা গঠনসহ বিভিন্ন বিষয়ে মতামত গ্রহণের জন্য এই সভার আয়োজন করা হয়।

সভায় বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান প্রকল্পের ডেপুটি ডিরেক্টর মির্জা মহিউদ্দীন, সিনিয়র পলিসি অ্যাডভাইজার (নেদারল্যান্ডস) এ কে ওসমান হারুনী, নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক জুবায়ের, সিংড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম সামিরুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান কামরুল হাসান কামরান, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেনসহ উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, স্থানীয় নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক ও উপকারভোগীরা অংশ নেন।

বক্তারা বলেন, চলনবিলকে ডেল্টা প্ল্যানের আওতাভুক্ত করে দু’দেশের সরকারের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত চলনবিলকে পুর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে একশ’ বছরের পরিকল্পনায় ৮০টি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে স্থায়ী পানি ব্যবস্থাপনা, রেস্টুরেন্ট রেহাবিলিটেশন, পর্যটন, কৃষি শিল্পের মানোন্নয়ন, উন্নত স্যানিটেশন, ফিসল্যান্ডিং সেন্টার, খাল খনন, বনায়ন ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

উল্লেখ্য, কয়েক ধাপে ডেল্টা প্ল্যানটি বাস্তবায়ন করা হবে। ২০৩১ সাল নাগাদ থাকবে প্রথম ধাপ। ২০৩১ থেকে ২০৫০ সাল নাগাদ পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপ এবং তৃতীয় ধাপ বাস্তবায়নের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২১০০ সাল। 
পরিকল্পনা কমিশন ৫ বছর পর পর পুরো ডেল্টা প্ল্যানের তথ্য হালনাগাদ করবে বলেও সভায় জানানো হয়।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি