ঢাকা, বুধবার   ১৬ জুলাই ২০২৫

চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়নি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:৫১, ৩ অক্টোবর ২০১৮ | আপডেট: ১৫:৫৭, ৩ অক্টোবর ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে বয়স বাড়ানোর বিষয়ে কোনো আলোচনা আজকের মন্ত্রিসভা বৈঠকে হয়নি। ফলে চাকরিতে প্রবেশ কিংবা অবসরের বয়সসীমা নিয়ে এখনই কোনো সিদ্ধান্ত হচ্ছে না।

প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর চাকরিতে কোটা বাতিল প্রস্তাব মন্ত্রিসভা অনুমোদন দেওয়ার পর আজ বুধবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম।

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করার দাবি উঠেছে, আজকের মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, না আজকে এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।   

এ প্রতিবেদনে মুক্তিযোদ্ধা কোটা তুলে দেওয়ার সুপারিশ করা হলেও মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংরক্ষণের বিষয়ে আদালতের পর্যবেক্ষণ রয়েছে বলে এতদিন সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে সরকার আদালতের পরামর্শ চাইবে এমন কথাও বলা হয়েছিল। সচিব কমিটির প্রতিবেদন দেওয়ার আগে এ বিষয়ে আদালতের পরামর্শ নেওয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন,এ বিষয়ে রাষ্ট্রের আইন বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া হয়েছে।

ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর ক্ষেত্রে কোটা পদ্ধতি অনুসৃত হবে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, তাদের বেলায় কোটা না হলেও সমস্যা হবে না। কারণ দেশে আর পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী নেই। সরকার চাইলে তাদেরকে কোটা দিতে পারবে।

১ম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর চাকরিতে কোটা বাতিল হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আজ-কালের মধ্যে আমরা মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেব। এরপর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করবে। আশা করছি দুই-তিন দিনের মধ্যে কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন হয়ে যাবে।

এতদিন সরকারি চাকরিতে নিয়োগে ৫৬ শতাংশ পদ বিভিন্ন কোটার জন্য সংরক্ষিত ছিল; এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৩০ শতাংশ, নারী ১০ শতাংশ, জেলা ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ৫ শতাংশ, প্রতিবন্ধী ১ শতাংশ।

সরকারি চাকরিতে নিয়োগে কোটার পরিমাণ ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার দাবিতে কয়েক মাস আগে জোরালো আন্দোলন গড়ে তোলে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। তাদের সেই আন্দোলন ঢাকার বাইরেও ছড়িয়ে পড়ে।

এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোতে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। টানা আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১১ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দেন ‘কোটাই থাকবে না’। শতভাগ নিয়োগ হবে মেধার ভিত্তিতে।  এরপর সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল বা সংস্কারের প্রয়োজন আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করে সরকার।

/ এআর /


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি