ঢাকা, রবিবার   ০৪ মে ২০২৫

জলবায়ু চুক্তির বিরোধিতার পেছনে প্রিন্সের অর্থনৈতিক স্বার্থ!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:১৯, ৮ নভেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ১৭:১৯, ৮ নভেম্বর ২০১৭

Ekushey Television Ltd.

ওয়েলসের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের পুত্র প্রিন্স চার্লস-এর দ্বিমুখী নীতির বিষয়টি আবারও সামনে এসেছে। কিয়োটা প্রটোকল ও প্যারিসের জলবায়ু চুক্তির বিরোধিতা করা প্রিন্সের অর্থনৈতিক স্বার্থের বিষয়টি বেরিয়ে এসেছে প্যারাডাইজ পেপার্স কেলেঙ্কারিতে।

ফাঁস হওয়া নথিতে দেখা যায়, প্রিন্স কার্বন ক্রেডিটে লেনদেন করা একটি অফশোর কোম্পানির শেয়ার কেনেন।

নথিতে আরও দেখা যায়, প্রিন্সের বিনিয়োগ দেখভাল কারী প্রতিষ্ঠান ডাচি অব কর্ণওয়ালীর মাধ্যমে তিনি ১ লাখ ১৩ হাজার ৫০০ ডলারের টেকসই বনায়ন ব্যবস্থাপনা লিমিটেড (সাসটেইনেবল ফরেস্ট্রি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড) এর শেয়ার কেনেন। কিন্তু বিষয়টি তিনি এতদিন গোপন রেখেছিলেন। একই সাথে নিজের বিনিয়োগ করা অর্থ যাতে আর্থিক ক্ষতির শিকার না হয়, সেজন্য তিনি প্যারিসের জলবায়ু সম্মেলন ও কিয়োটা প্রটোকলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন।

এ দুটি চুক্তি বাস্তবায়ন হলে, লোকসানে পড়তে পারেন প্রিন্স চার্লস এমন আশঙ্কায় তিনি চুক্তি দুটির সংশোধন চেয়েছিলেন। এজন্য আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়েরও চেষ্ঠা করেন তিনি।

সম্প্রতি বারমুডার একটি ল’ ফার্মের ফাঁস হওয়া এক কোটি ৩৪ লাখ গোপন নথির মধ্যে চার্লসের মা ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ, কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রডো, যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যমন্ত্রী উইলবার টিলারসনসহ বিশ্বের অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম রয়েছে।

প্রিন্সের বিনিয়োগ সহায়তা দেওয়া প্রতিষ্ঠানটি কিয়োটা প্রটোকলে কার্বন ক্রেডিটের বিষয়টি অন্তর্ভূক্ত করার জন্য দীর্ঘদিন চেষ্টা চালিয়ে আসছিল। এজন্য বিভিন্ন দেশের ক্ষমতাধরদের রাজি করাতে বিভিন্ন লবিও নিয়োগ করে প্রতিষ্ঠানটি। সাসটেইনেবল ফরেস্ট্রি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড এর প্রধান হিউ ভ্যান কুটমেস হলেন প্রিন্স চার্লসের একজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তবে তিনি দাবি করেন, তিনি সরাসরি কোনো বিনিয়োগ করেননি।

এদিকে ডাচ অব কর্ণওয়ালও দাবি করেন, প্রিন্স সরাসরি অফশোর কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেননি। এ ব্যাপারে চার্লস ‍মুখে কুলুপ এঁটেছেন। তার মুখপাত্রের দাবি, এ ব্যাপারে চার্লস কোনো মন্তব্য করবেন না।

যুক্তরাজ্যের আইনে এ খাতে বিনিয়োগ অবৈধ না হলেও, এটি পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি। ফাঁস হওয়া এসব নথি যুক্তরাজ্যের রাজপরিবারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে পারে বলে অনেকে আশঙ্কা করছে।

ডব্লিউএন

 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি